নিজস্ব প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনামে প্রায়শই উঠে আসে ইরানের ইজরায়েলে ড্রোন, মিসাইল হামলার খবর।মুহুর্মুহু আক্রমণ আর সাথে সাথে আক্রমণ প্রতিহত করা বা ‘ইন্টারসেপশন’-এর সময়টাতে আলোর ঝলকানি রাতের আকাশকে আলোকিত করে তোলে।আর এগুলো যখন শোনা যায় তখন বুকের ভেতরটা কেঁপে ওঠে। একবার ভাবুন তো তাঁরা কি করে আছে যাদের আত্মীয় স্বজন পড়ে আছে ইজরায়েল কিংবা ইরানে।আরও একবার উৎকন্ঠায় ফোন নিয়ে দুয়ারে বসে আছেন বাপ মা হারানো দুই বোন।
মা বাবা হারানো তিন বোনের একজন দিব্যা লিম্বু শহরের নামী কলেজ থেকে সংস্কৃত ভাষায় স্নাতক হয়েও ছিলেন বেকার। একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ ঋণ নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।সংসারের হাল ফেরাতে তাই মাতৃভূমি ছেড়ে পাড়ি দেন ইজরায়েলে। ছোটো বোন রয়েছে ইজরায়েলে, আর সেটাই চিন্তার ঘুম কেডে় নিচ্ছে জলপাইগুড়ির বাড়িতে থাকা বাকি দুই বোনের।
দিব্যা লিম্বুর দিদি শ্রীজানা লিম্বু জানান, ‘আমাদের মা বাবা নেই, অনেক কষ্ট করে বোনকে এখানে সংস্কৃত ভাষা নিয়ে পড়াশুনো করালাম, কিন্তু একটা কাজও পেলেন না।প্রতিবেশীদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ করে ছোটো বোন ইজরায়েলে গিয়েছে কাজ করতে। এখন ওই বোনের পাঠানো অর্থ দিয়েই চলে আমাদের সংসার। চিন্তা হচ্ছে ছোটবোনের জন্য।’জলপাইগুড়ির শহরে রেসকোর্স পাড়ার বাড়ি থেকে ভিডিও কলে বার বার ছোটো বোনের মুখটা দেখতে চাই দিদি শ্রীজানা লিম্বু। আর দিব্যা দিদিকে স্বাত্তনা দেন, তিনি ভাল আছেন। এতেই কিছুটা হলেও শান্তি মেলে জলপাইগুড়ির বাপ মা হারা দুই বোন।