নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) জেলার মধ্যে অন্যতম প্রাচীন শিবতীর্থ হল জল্পেশ মন্দির(Jalpesh Temple)। জেলার ময়নাগুড়ি(Moynaguri) ব্লকে থাকা এই মন্দিরে প্রতিদিনই শতাধিক ভক্তের সমাগম হয়। গর্ভগৃহে প্রবেশ করে ভক্তরা শিবলিঙ্গে দুধ, জল ঢালেন। বছরে তিনটি মেলা হয় এখানে। শ্রাবণ মাসে শ্রাবণী মেলা, বৈশাখ মাসে বৈশাখী মেলা এবং শিব চতুর্দশীতে জল্পেশ মেলা হয়। প্রত্যেকটি মেলাতেই লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী আসেন। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম থেকেও লোকজন আসে। শ্রাবণী মেলায় নেপাল, ভুটান থেকে ভক্তরা আসেন। তবে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে হলে টিকিট কাটতে হয়। সেই মন্দিরই এবার সেজে উঠছে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দেওয়া ৫ কোটি টাকায়।
আরও পড়ুন Missile Park পেল কলকাতা, জানেন কোথায়…
জল্পেশের মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, Silliguri Jalpaiguri Development Authority বা SJDA তাঁদের ৪ কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই টাকায় মার্কেট কমপ্লেক্স বানানোর কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী জল্পেশের উন্নয়নে ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে নবরূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মন্দির। মন্দির থেকে মেলা মাঠ পর্যন্ত এক কিমি রাস্তায় সোলার লাইট লাগানো হচ্ছে। মন্দিরের বিভিন্ন অংশ সংস্কারের কাজ চলছে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিব চতুর্দশীর আগে মন্দির রং করা হয়েছে। ৩২টি সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর। দু’টি গেট তৈরি করা হচ্ছে। মন্দিরের মূল প্রবেশ পথে নতুন করে তৈরি হচ্ছে গেট। মন্দির থেকে বের হওয়ার মুখেও গেট বানানো হচ্ছে। এছাড়াও চলছে স্কাইওয়াকের কাজ। এককথায় বলতে গেলে নবরূপে প্রচীন এই মন্দির সজ্জিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন BJP’র দাপট ঠেকাতে ECL’র বিরুদ্ধে আন্দোলন গাড়ি চালকদের
জল্পেশ মন্দিরের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরের সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যেমন ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন তেমনি SJDA-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৪ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে ৯ কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ হচ্ছে জল্পেশ মন্দিরকে ঘিরে। বহু পুরনো এই শৈবতীর্থ নবরূপে সেজে উঠতে শুরু করায় খুশি জল্পেশের বাসিন্দা সহ ভক্তরা। জল্পেশ মন্দিরে বৈশাখ ও শ্রাবণ মাসে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। তাই ভক্তদের প্রবেশ করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য স্কাইওয়াক তৈরি করা হচ্ছে। আর এই সব উন্নয়নের জেরে এই মন্দিরে আগামী দিনে পর্যটকদের পাশাপাশি ভক্তদের ভিড়ও যে বাড়তে চলেছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।