নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ফের জাতীয় সড়ক অবরোধ আদিবাসী সমাজের। চরম নাজেহাল সাধারণ মানুষ। ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলার একটি স্কুলে অলচিকি চালুর দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলো ভারত জাকাত পারগানা মহলের জাম্বনী ইউনিট। ঝাড়গ্রাম জেলার প্রায় সমস্ত সরকারি এবং প্রশাসনিক পদ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তৃনমূলের জেলা সভাপতি আদিবাসী। জেলায় প্রেসিডেন্ট সমাজেরই নেতা রবিন টুডুর স্ত্রী বিরবাহা সরেন টুডু। রবিন টুডু নিজে আবার চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ ও শিক্ষা পর্ষদের। জেলার চার বিধায়কের তিন ৩ জনই আদিবাসী। ঝাড়গ্রামে জেনারেল সিট হওয়া সত্ত্বেও আদিবাসী বিধায়ক। তিনি আবার রাজ্যের মন্ত্রীও। তার পরও আাদিবাসী সমাজেকে দেখভাল করতে ব্যার্থ।
তার ফল স্বরুপ আজ ফের সাধারন মানুষ চরম নাজেহালের শিকার। জাতীয় সড়কে(National High way) অনির্দিষ্ট সময়ের অবরোধকে কেন্দ্র করে চরম নাজেহাল অবস্থা। আর এখানেই সাধারন মানুষের প্রশ্ন তাহলে এত জন আদিবাসী নেতা নেত্রী কি জন্য রয়েছেন। রবিন টুডু নিজে আদিবাসী কল্যাণ ও শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান হয়েও কেনো স্কুলের সমস্যার সমাধান হয়না? কেনো দুদিন ছাড়া সাধারন মানুষকে এত নাজেহাল হতে হবে তাদের জন্য। অভিযোগ কোরাপসন এর ক্ষেত্রে সবাই প্রথমের সারিতে, অথচ যখন সমস্যা তখন কাউকে দেখা যায় না। প্রসঙ্গত সোমবার সকাল থেকেইজামবনি ব্লকের সাবলমারা বিদ্যালয়ে অল চিকি হরফে পঠন পাঠন, শিক্ষক নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে৬ নম্বর জাতীয় সড়কে সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে ।
এই শাবল মাড়াতেই থাকেন বিনপুর বিধানসভার(Binpur Assembly) এসটি বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা(MLA Debnath Hasda)। ঘটনাস্থলে রয়েছে জামবনি থানার পুলিশ। ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে অল চিকি হরফের সাঁওতালি ভাষায় পঠন পাঠন নিয়ে রাজ্য সরকার ঢিলেমি করছে। এ আদিবাসী ছেলে মেয়েদের মাতৃ ভাষায় পঠন পাঠন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।