নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর খুনের (Murder) ঘটনায় এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনা থকে অনুপ্রানিত হয়েই দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার সিদ্ধান্ত বলে জানাল ধৃত ছেলে জয় চক্রবর্তী (Joy Chakraborty)।
বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে (Ujjwal Chakraborty) খুনের ঘটনায় দায় স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী। পুলিশি জেরায় নিহত প্রাক্তন নৌসেনার স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তী ও ছেলে জয় চক্রবর্তী জানিয়েছে দিল্লির ঘটনায় অনুপ্রানিত হয়ে খুন করার পর দেহ টুকরো করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। উজ্জ্বল চক্রবর্তীর ছেলে দাবি করে, খুন করার পর তারা বুঝতে পারেনি কী করতে হবে। তার মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে জানতে চায়, দেহ নিয়ে এবার কী হবে। এরপর ছেলে জয় চক্রবর্তী মাকে জানায় দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনার মত দেহ টুকরো টুকরো করে সেগুলিক বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। সেইমত দেহকে ৬টি ভাগে টুকরো করে, দেহাংশগুলি নিয়ে সাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়ে জয় ও তার মা। এরপর সেগুলি পুকুর ও রাস্তার পাশে বিভিন্ন জঙ্গলে ফেলে দেয়। জেরায় এ কথা জানার পর রবিবার দেহের বাকি অংশগুলির খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশ। তদন্তকারীরা ছেলে জয় চক্রবর্তীকে নিয়ে এদিন পুকুর, জঙ্গল-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।
গত ১৭ নভেম্বর বারুইপুর – মল্লিকপুর সড়কের পাশে মদনমাল্য গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহের অর্ধেক অংশ। দেহের হাত পা ছিল কাটা। তদন্তে নেমে পুলিশ নিহত নৌসেনার স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তী ও ছেলে জয় চক্রবর্তীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথমে এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা মানতে চাননি তারা। তবে পুলিশি জেরায় অবশেষে নিজেদের অপরাধের কথা কবুল করে নেয় জয় চক্রবর্তী ও শ্যামলী চক্রবর্তী।