নিজস্ব প্রতিনিধি,মানিকচক: সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে চাকরিতে নিয়োগপত্র ।এই ঘটনায় অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীকে গ্রেফতার করল মালদার মানিকচক থানার পুলিশ। ধৃত তপন মণ্ডল মালদার ভূতনি থানার উত্তর চণ্ডিপুর অঞ্চলের তাজপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। দিনকয়েক আগেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।জাতি শংসাপত্র জালকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত তপন মন্ডল। মানিকচক থানার মথুরাপুর থেকে তপন মন্ডল কে গ্রেপ্তার করে । তপন মন্ডল ভুতনি থানা এলাকার তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জাল শংসাপত্র তৈরি করে শিক্ষকতা চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই তপন মন্ডল এর বিরুদ্ধে। হাইকোর্ট তপন মন্ডল এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশের পরই মানিকচক থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।জানা গিয়েছে, কোচবিহারের প্রাণনাথ হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র পান অভিযুক্ত তপন মণ্ডল। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি নিয়োগপত্র পান তিনি। পরে জানা যায়, তার এসসি সার্টিফিকেট জাল। যদিও তার দাবি, তিনি নিয়োগপত্র পেলেও চাকরিতে যোগদান করেননি। কিন্তু, জাল শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরির ঘটনায় কড়া অবস্থান নেয় উচ্চ আদালত। মালদার মহকুমাশাসকও জাল শংসাপত্র তৈরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশে।
গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু কেন এখনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি? প্রশ্ন তোলেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেন বিচারপতি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গতকাল রাতে মথুরাপুর ভূতনি সেতুর কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ। শনিবার ধৃতকে মালদহ আদালতে পেশ করা হয়।উচ্চ আদালতের বিচারপতি আগেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, চাকরিতে যোগ না দিলেও জাতিগত শংসাপত্র জাল করার দায় থেকে মুক্ত হয়ে যান না তপন মণ্ডল। জালিয়াতি করেই সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র। এরজন্যই ফৌজদারি অপরাধে যুক্ত অভিযুক্ত। তাই, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিক পুলিশ। সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি মাসে তপন মণ্ডলের বিরুদ্ধে জাল শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ দায়ের করেন মালদহের মহকুমাশাসক। সেই অনুযায়ী, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪৬৫, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় মামলা শুরু হয়।