নিজস্ব প্রতিনিধি: অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে যেতে অনীহা। ডোমজুড় বিধানসভায় ৪৫ শতাংশ মানুষ গরীব। তাই প্রাইভেটে চিকিৎসা না করিয়ে সরকারি কিংবা ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে রোগ সারাতে অভ্যস্ত। কিন্তু এই বিষয়টা ভয়ঙ্কর। তাই এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের কথা মাথাতে রেখেই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। আগামী ১ লা জানুয়ারি অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ডোমজুড় বাসীকে ‘মমতাময়ী ক্লিনিক’ উপহার দেবেন।
এই প্রকল্পের জন্য নিজের বিধায়ক ভাতাকে ব্যবহার করবেন বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক কল্যান ঘোষ। বিধায়ক হিসেবে হাতে ভাতা পান মাসে ১৯,০০০ টাকার কাছাকাছি। বিধানসভার বিভিন্ন কমিটি মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে প্রতি মাসে সেখান থেকে ভাতা পান ৬০,০০০ টাকার মতো। সবমিলিয়ে মাসে বিধায়ক হিসেবে আয় হয় ৮০,০০০ টাকার কাছাকাছি। পার্টি ফান্ডে একটা মাসিক চাঁদা দিতে হয়। সেই চাঁদা দিয়েই বাকি টাকায় চালাবেন ‘মমতাময়ী ক্লিনিক’। এই ক্লিনিক ডোমজুড় বিধানসভার ১৫ টি পঞ্চায়েতের ১৫ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গড়ে তোলা হবে। যেখানে সপ্তাহে পাঁচদিন অভিজ্ঞ ডাক্তাররা বসবেন। রোগী দেখার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধও দেবেন চিকিৎসকেরা। প্রতিদিন তিনজন চিকিৎসক ও দু’জন মেডিক্যাল স্টাফ থাকবেন রোগী দেখার জন্য। পুরো পরিষেবাটি হবে বিনামূল্যে।
‘বাম আমলে ভেঙে পড়া রাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ঢেলে সাজাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তাঁর সৈনিক হিসেবে আমাদেরও কর্তব্য আছে তাঁকে সহযোগিতা করার। তাই ২০১৪ সাল থেকে আমার এলাকায় ভেঙে পড়া উপস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সাজাতেই এই পদক্ষেপ। কেন্দ্রের মোদি সরকারের অসহযোগীতায় বন্ধ হতে চলা উপস্বাস্থ্য গুলিকে পুনর্গঠনের জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ। তবে এখনই তিনটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে এই পরিষেবা চালু করব। ভবিষ্যতে বাকি অঞ্চলে এই পরিষেবা দেব বলেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’