নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) (KLO)। গত কয়েক মাসে হঠাৎ করে একাধিক ভিডিও বার্তায় ফের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। তার মাঝেই উঠে এসেছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গ। সৌজন্যে সেই বিজেপি শাসিত রাজ্য। আর এতসবের মাঝেই নতুন করে হালে পানি পেতে চাইছে কেএলও। নতুন করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিলেন জীবন। কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে জীবনের মুখে শোনা গিয়েছিল ৩ বিজেপি সাংসদের নাম! বরাবরের মতই তৃণমূলের দাবি, বিজেপি অক্সিজেন জোগাচ্ছে কেএলও-কে। এভাবেই রাজ্যেকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে।
গত ১৫ থেকে ২০ জুন হয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সাধারণ সভা। জীবন সিংহের উপস্থিতিতে হয়েছে নয়া কেন্দ্রীয় কমিটি। এই সভায় কয়েক দফায় অন্তত ৩০০ জন সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন। আর সভার পরেই সংগঠনের তথ্য ও প্রচার সহাসচিব দাওসার লাঙকাম প্রকাশ করেছেন নয়া কমিটির তালিকা। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ২ মহিলা। উল্লেখ্য, এই প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটিতে উঠে এল মহিলা। নারী কল্যাণ দফতরের সচিব মতেশ্বরী অধিকারী। আর এই দফতরের সহসচিব উর্বশী কোচ। আরও লক্ষ্যনীয়, মহিলাকে গুরুত্ব দেওয়াই নয়, সংগঠনের বদলে বিবৃতিতে এই প্রথম উল্লেখ করা হয়েছে ‘পার্টি’। তবে কি এবার সরাসরি রাজনীতিতে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী দল? আর লেবেল আঁটা রাজনৈতিক দলের পেছনে চলবে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ?
লক্ষ্যনীয় বিষয়, কোচ- রাজবংশী জনজাতির বাইরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অন্যান্য জনজাতিকে। দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদ। তবে ধর্ম, বর্ণ, জাতি মিলিয়ে বড় করে আত্মপ্রকাশের পথে কেএলও! কেন্দ্রীয় কমিটি যেন মন্ত্রিসভা! প্রধান জীবন সিংহ। তাঁর ৫ সহ সভাপতি। এছাড়াও রয়েছেন মহাসচিব, সহকারি মহাসচিব, বিদেশ সচিব, সংগঠন সচিব, বাণিজ্য সচিব, সংস্কৃতি সচিব, শ্রম সচিব, ৫ বিভাগীয় উপসচিব।