নিজস্ব প্রতিনিধি: আগে ছিলেন তৃণমূলে(TMC)। একুশের ভোটের মুখেই পা বাড়িয়েছিলেন বিজেপির(BJP) দিকে। তার জেরে রায়গঞ্জ থেকে ভোটে লড়াই করার টিকিটও পেয়ে যান। জিতেও যান। তার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের ফিরে আসেন তৃণমূলে। যদিও তিনি এখনও খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক হিসাবেই রয়েছেন। আর এখন তো তাঁর আবার প্রমোশনও হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে তিনি হয়ে গিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির(PAC) চেয়ারম্যানও। এহেন মানুষের গাড়িতেই কিনা রাতের আঁধারে এসে ধাক্কা দিল লরি। ভাগ্য ভালো সেই সময় ওই গাড়িতে ছিলেন না মানুষটি। কিন্তু দুর্ঘটনার পরে তিনিই এখন দাবি করছেন, তাঁকে প্রাণে মারার জন্যই এই দুর্ঘটনার ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছিল। যদিও ঠিক কারা সেই ষড়যন্ত্র করছেন সে নিয়ে কিছু বলেননি। বলবেনই বা কী করে, বিজেপির সঙ্গে যোজন দূরত্ব আর স্থানীয় তৃণমূলের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায়। নজরে কৃষ্ণ কল্যাণী(Krishna Kalyani)।
শনিবার ভোর রাত ৩টের সময় মালদার(Malda) গাজোলে(Gajol) কৃষ্ণ কল্যাণীর গাড়ি দুর্ঘটনার(Accident) মুখে পড়ে। শুক্রবার রাতে পদাতিক এক্সপ্রেস ধরে রায়গঞ্জ(Raiganj) ফিরছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁকে মালদা টাউন স্টেশন থেকে নিয়ে আসতেই তাঁর গাড়ি রওয়ানা দিয়েছিল রায়গঞ্জ থেকে। কিন্তু গাজোলে সেই গাড়ির পিছনে এসে বেশ জোরেই ধাক্কা মারে একটি লরি। তাতে গাড়ির চালক ও কৃষ্ণকল্যাণীর এক নিরাপত্তারক্ষী আহত হন। দ্রুত তাঁদের রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অন্য গাড়িতে রায়গঞ্জে ফেরেন কৃষ্ণ কল্যাণী। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ঘাতক লরিটিকে আটক করেন তাঁরা। গ্রেফতার করা হয়েছে লরির চালককে। কিন্তু শনিবার সকালেই কৃষ্ণ কল্যাণী অভিযোগ করেছেন, তাঁকে খুন করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘যারা সভায় মাইকের সামনে নানা আদর্শের কথা বলে তাঁরাই এই ষড়যন্ত্র ঘটিয়েছে আমাকে খুনের জন্য। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা আছে।’