নিজস্ব প্রতিনিধি: সিবিআই তলবে সাড়া দিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISHEK BANERJEE) । কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরাপত্তা নিয়ে এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন তুললেন সবুজ শিবিরের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (KUNAL GHOSH)।
কুণালের প্রশ্ন, কুন্তলের চিঠির ওপর ভিত্তি করে যদি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয় তাহলে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির বয়ানের ওপরে ভিত্তি করে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করা হবে না?
তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য, কুন্তলের চিঠিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। কায়দা করে তাঁর নাম জড়িয়ে তাঁকে ডাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাহলে সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক মারাত্মক অভিযোগ থাকলেও কেন একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? কুণালের প্রশ্ন, কুন্তল এবং সুদীপ্ত দুজনেই জেলবন্দি। দুজনেই আদালতে চিঠি দিয়েছে। তাহলে কেন সিবিআই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য, সারদাকর্তা চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ২০১৩ সালে। কুণাল বলেন, গ্রেফতারি এড়াতেই বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দাবি, নবজোয়ার বানচাল করতেই এই তলব। আরও প্রশ্ন, এত তাড়াহুড়ো করে তলব কেন? চিঠির নথিতে অভিষেকের নাম কী ভাবে রাখা হয়েছে-তাও দেখার কথা বলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ।
তিনি বলেন, যদি একটি চিঠির জন্য অভিষেককে তলব করা হয় তবে কেন নিয়োগ দুর্নীতির মূলচক্রী প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের দলিল মিললেও তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না? তাঁর অভিযোগ, তরুণ তুর্কির নবজোয়ার যাত্রা আটকাতেই এই চক্রান্ত। সেই ‘ব্লু প্রিন্ট’ জলে যাবে বলেও অভিযোগ। বলেন, এই পরিস্থিতিতে ময়দানে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে আরও প্লাবন আসবে।