নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূমের বকটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লাল শেখের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নিজেদের কাঁধ থেকে দায় ঝেড়ে ফেলল ‘খাঁচাবন্দি তোতা’ হিসেবে খ্যাত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর, জেলা পুলিশকে প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেলে আত্মহত্যা করেছেন লালন শেখ। যদিও সিবিআইয়ের এমন সাফাইকে মানতে চাননি মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সুপরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে লালন শেখকে। সিবিআইয়ের কোনও আধিকারিক অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি।
বীরভূমের বকটুইকাণ্ডের দীর্ঘ আট মাস বাদে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে গত ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করেছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। প্রথমে তাঁকে ছয়দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। পরে গত ১০ ডিসেম্বর আরও তিনদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয় লালনকে। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ইনসাসধারী সিআরপিএফ জওয়ানরা। আগামী বুধবার ফের আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সোমবার বিকেলে লালনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে লালন শেখের আত্মহত্যার বিষয়টি জানানো হয়। তাতে বলা হয়, লালন বাথরুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। বাথরুমে ঢুকে আত্মহত্যা করায় কিছু করার ছিল না। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু সিবিআইয়ের আত্মহত্যার তত্ত্ব নিয়ে যথেষ্টই সন্দিহান তদন্তকারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘আত্মহতআ হলে মাটিতে পা ঠেকে থাকার কথা নয়। তাছাড়া আত্মহত্যার ক্ষেত্রে আত্মঘাতীর মলমূত্র ত্যাগ করার কথা। এ ক্ষেত্রে তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ ফলে সন্দেহ দানা বাঁধছে।