নিজস্ব প্রতিনিধি: আর শহরের রুটে অটো (Auto) চালানোর সময় বাজানো যাবে না চটকদার হিন্দি গান। এমনই নির্দেশিকা জারি করল লালবাজার। ট্রাফিক বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা ও যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর তা কার্যকর করতেই মহানগর জুড়ে চলছে বিশেষ অভিযান। শুধু তাই নয় নিষেধাজ্ঞা না মানলে ইতিমধ্যেই চালানো হচ্ছে ধরপাকড়। জানা গিয়েছে, উচ্চস্বরে চটকদার গান চালানোর জন্য ধরা হয়েছে প্রায় ১৪০০ অটোচালককে।
এর আগে মদ্যপ অবস্থায় যান চালানোর অভিযোগে চলেছিল তল্লাশি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোখ কপালে উঠেছিল পুলিশ (Police) আধিকারিকদের সাধারণ দিনেই মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে বা এক বাইকে তিনজন অথবা রুট না মানা কিংবা অত্যধিক জোরে গাড়ি চালানোর ছবি ধরা পড়েছিল। আবার অনেকেই ব্যবহার করে না হেলমেট বা সিট বেল্ট। উৎসবের দিনে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ, তা ভেবেই আতঙ্কিত পুলিশ মহল। সম্প্রতি মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে এক চালক (Driver) ও তার সঙ্গীকে। থানায় এসে গালিগালাজ, তাণ্ডব চালায় সেই চালক ও তার সঙ্গিনী। শুধু তাই নয় অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের গায়ে হাত তোলার। শহরের এই পরিস্থিতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আর যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা। তা পালন হচ্ছে কী না, খতিয়ে দেখতেও পথে নেমেছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, অটো চালানোর সময় অনেকেই বাজায় তারস্বরে চটুল গান। ফলে মনঃসংযোগ নষ্ট হয়ে ঘটে পথ দুর্ঘটনা (Accident)। আবার যাত্রীদের বেশিরভাগ এই ধরণের গান পছন্দ করেন না। তার ওপর মাত্রাতিরিক্ত স্বরে বিরক্ত হন অনেকেই। তাই যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। উল্টোডাঙা, শোভাবাজার, শ্যামবাজার, হাতিবাগানে এই ধরণের অভিযোগ আসে সবচেয়ে বেশি। আরও জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বহু যাত্রী এই ধরণের গান বা জোরে স্পিকার চালাতে না বললেও অনেক চালক তাতে কান দেন না বরং বাজে ব্যবহার করেন। তাই পরিষেবার কথা মাথায় রেখেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।