প্রবল বর্ষণ ও ধসের জেরে সান্দাকফু-দার্জিলিংয়ে আটকে বহু পর্যটক, মৃত ১
প্রবল বর্ষণ ও ধসের জেরে সান্দাকফু-দার্জিলিংয়ে আটকে বহু পর্যটক, মৃত ১
নিজস্ব প্রতিনিধি: একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই বিপর্যস্ত পাহাড়। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ধস। ফলে দার্জিলিং এবং সিকিমে বেড়াতে গিয়ে বহু পর্যটক হোটেলবন্দি। এরমধ্যেই বড়সড় ধস নামল রিম্বিকের কাছে। ফলে বন্ধ করে দিতে হল সান্দাকফুর সমস্ত ট্রেক রুট। সবমিলিয়ে চরম অস্বস্তিতে পর্যটকরা। সোমবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। শুধু দার্জিলিং পাহাড়েই নয়, উত্তরবঙ্গের সমস্ত এলাকায় গতকাল রাত থেকেই চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। এর জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে দার্জিলিং-সহ বিভিন্ন এলাকায় ধসের খবর পাওয়া যায়। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু জায়গায় বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কালিম্পংয়ের কাছে তিন মাইল এলাকায় ভয়াবহ ধস নামে। এর ফলে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই গাড়িতে চালক-সহ তিনজন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই চালকের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই দেখা গিয়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য বয়ে চলেছে প্রবল জলস্রোত। অপরদিকে, দার্জিলিংয়ের গোক থেকে সিঙ্গেল বাজারে যাবার একটি লোহার ব্রিজ এর ওপর ধস পড়ায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রিম্বিক, বিজনবারির বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস। সুখিয়াপোখরি থেকে মানেভঞ্জন যাওয়ার রাস্তাও ধসের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রবল বৃষ্টির জন্য ধস সরিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত দার্জিলিংয়ের যাওয়ার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল চালু আছে। অপরদিকে সান্দাকফুতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেক রুটগুলি। ফলে আটকে গিয়েছেন বহু পর্যটক ও ট্রেকার্স।
অপরদিকে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাবার রাস্তায় ও বেশ কয়েক জায়গায় ধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সিকিমের গুরুদোম্বা, প্রবল বৃষ্টির সাথে তুষারপাতের জন্য পর্যটকদের জন্য আজ সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিকিম-সহ দার্জিলিঙয়ের মানেভঞ্জন ও সান্দাকফুতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ২৯ মাইল এ একটি বড় ধসের জন্য শিলিগুড়ি কালিম্পং ও সিকিমের রাস্তা বন্ধ। তবে শুধু পাহাড় নয়, প্রবল বৃষ্টিতে দার্জিলিং জেলার সমতল অঞ্চল এবং শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।