নিজস্ব প্রতিনিধি, মেটেলি: খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হাতির দলের হানায় এতদিন অভ্যস্ত ছিলেন ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। কিন্তু মঙ্গলবার মেটেলিতে যা ঘটল, তাতে কার্যত আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন তাঁরা। কেননা ওই দিন রাতে খাবারের খোঁজে কোনও হাতির দল নয়, হানা দিয়েছিল চিতা বাঘ। শুধু তাই নয়, গোয়ালে রাখা ছাগল তুলে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাঘ বাবাজীবন। কিন্তু তাতে সফল হয়নি। তাড়া খেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরা আশ্বস্ত করলেও স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না রিপন আলমের পরিবার। এখনও ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের খরিয়ার বন্দর জঙ্গল সংলগ্ন বাতাবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা রিপন আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আচমকাই টিনের শব্দে ও ছাগলের আর্ত চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। বাইরে বেরিয়ে দেখেন, গোয়াল ঘরের টিন ভেঙ্গে ছাগলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে চিতাবাঘ। বাড়ির সদস্যরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশিরা লাঠি নিয়ে বেরিয়ে আসেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে ততক্ষনে চিতাবাঘটি ছাগলটিকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।
রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খুনিয়া স্কোয়াডের বন কর্মীরা। তাঁরা এসে বাঘের খোঁজে তল্লাশি চালায়। যদিও হানা দেওয়া চিতাবাঘের সন্ধান পায়নি। বুধবার সকালে ঘটনার তদন্তে আসেন চালসা রেঞ্জের বনকর্মীরা। এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি রিপন আলম। ভীত-সন্ত্রস্ত কণ্ঠে বললেন, ‘রীতিমতো বাড়িতে ঢুকে চিতাবাঘ একটি ছাগলকে মেরেছে। তাই পরিবারকে নিয়ে খুব আতঙ্কে রয়েছি।’
খাবারের খোঁজে চিতা বাঘের হানার পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে খাঁচা বসানোর দাবি জানিয়েছেন। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় খাঁচা বসানোর বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।