নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্রিজ হওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘ ২ বছর কেটে গেলেও অবহেলায় এগোয়নি কাজ। এরমধ্যে বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে বাঁশের সাত সাঁকো। অগত্যা উপায় একমাত্র নৌকা। যাত্রী অনেক। ফলে একটি নৌকায় উঠছেন অনেকজন। এমনকি তোলা হচ্ছে অন্যান্য পণ্য থেকে গাড়িও। নেই লাইফ জ্যাকেট। নৌকায় ভার পড়ছে মাত্রাতিরিক্ত। আর এভাবেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে নদী পারাপার। ঘাটালবাসীর আবেদন, দ্রুত ব্রিজ তৈরি হোক।
ঘাটালের ঝুমি এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদ (RIVER)। আর এই নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাতটি সাঁকো ভেঙে বিচ্ছিন্ন মনসুকা-১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকা। নদীও খরস্রোতা। তবুও নৌকায় পারাপার চলছে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই। এই মনসুকা এলাকা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ঘাটাল পুরসভা। আর এই মনসুকার দুই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রায় ৫০ টি গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দাদের অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ বা বাজার যাওয়ার জন্য ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকোগুলি। তবে বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে সবকটি সাঁকো। তাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার নৌকায়। শুধু তাই নয়, পাশের জেলা হুগলী থেকে এই অঞ্চলে আসে প্রচুর মানুষ। তাঁদেরও ভরসা সেই নৌকা। উল্লেখ্য, গত কয়েকবছরে এই অঞ্চলে নৌকাডুবির ঘটনা কম ঘটেনি।
পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এই অঞ্চলে কংক্রিটের সেতুর দাবি ছিল দীর্ঘ বছরের। গত বছরের ২২ জানুয়ারি শুরু হয়েছে কাজ। অভিযোগ, সেই কাজ চলছে গড়িমসি করে। রাজ্য সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসী। আবেদন, দ্রুত নির্মাণ হোক ব্রিজ। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৃষ্টিতে জল বাড়ার জন্য ব্রিজ নির্মাণ স্থগিত রাখা হয়েছে। ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।