নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে একটি বিল পাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কোনও চালক যদি দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনাগ্রস্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাহলে তাঁর সাজা কম হতে পারে। কিন্তু দুর্ঘটনার পর যদি তিনি পালান তবে তাঁর জেল ও ৫ লক্ষের জরিমানা হতে পারে। এই বিলের বিরোধিতায় হুগলি জেলার(Hooghly District) ডানকুনিতে(Dankuni) এদিন অর্থাৎ রবিবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে(Durgapur Expressway) অবরোধ করেন লরি চালকেরা(Lorry Drivers)। তাতে যোগ দেন খালাসীরাও। সেই অবরোধের(Road Blocked) জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। সার দিয়ে রাস্তার দুই দিকেই দাঁড়িয়ে যায় একের পর এক যানবাহণ। তার মধ্যে যেমন যাত্রীবাহী বাসও ছিল তেমনি ছিল ছোট ৪ চাকার গাড়ি মায় অ্যাম্বুলেন্সও। সকাল ১০টা থেকে অবরোধ শুরু হলেও পুলিশ লাঠিচার্জ করে বেলা ১টা নাগাদ। তারপর ওঠে অবরোধ। যদিও যে যানজট ওই ৩ ঘন্টায় তৈরি হয় তা ছাড়তে বিকাল গড়িয়ে যাবে বলেই জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পরিবহণ নীতির প্রতিবাদে এদিন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরুদ্ধ করে ট্রাক চালকেরা আন্দোলন শুরু করেন। জাতীয় সড়কের ওপর আগুন জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। তার জেরেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক গাড়ি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন পুলিশের আধিকারিকরা। কিন্তু অবরোধ তুলতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। ফলে বিপাকে পড়েন অবরোধের জেরে আটকে পড়া নানা যানবাহণে থাকা আমজনতা। একেই রবিবার, তার ওপর বছরের শেষ দিন। বহু মানুষ বেড়িয়ে পড়েছিলেন ঘুরতে। তাঁদের হেনস্থা হতে হয়। লরি চালকদের অভিযোগ, তাঁদের কথা কেউ ভাবে না। তাঁদের কেউ সম্মান করে না। তাই প্রাপ্য সম্মান ও বিল প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছেন। দুপুর ১টা নাগাদ পুলিশ এসে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। অভিযোগ, অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পালটা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। সেই সময় ১২জন বিক্ষোভকারীকেও আটক করে পুলিশ্ল। তার পরে জাতীয় সড়কে ফের স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।