নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইডির তলব এড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) লঙ্ঘনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে ইডি। হাজিরা এড়ানো পর মহুয়া বলেন, “ বর্তমানে আমি এখন কৃষ্ণনগরে রয়েছি। আজ আমি কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় নয়াচর গ্রামে আমরা প্রচারে যাব।“
এই প্রথম নয় অতীতেও একই মামলায় কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই সময়েও হাজিরা এড়িয়ে যান মহুয়া। ভোটের আবহে ফের তাঁকে ইডির এই তলব খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিজেপি ভোট ‘লুঠে’র চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ সিবিআই তল্লাশি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (CBI ) লোকসভা নির্বাচনের প্রচারকে “হয়রানি ও শ্বাসরোধ করার” লক্ষ্যে “অবৈধ ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ” করছে।মহুয়া চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, দেশে আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকাকালীন সিবিআই তাদের তদন্তের কাজ কীভাবে এগোবে সে ব্যাপারে কমিশন একটি গাইডলাইন বা নির্দেশিকা তৈরি করে দিক। শুধু তাই নয় আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকাকালীন সময় কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না সিবিআই। তাই এইসকল বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উচিত একটি নির্দেশিকা পাঠান।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ শে মার্চ মহুয়ার মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে লোকপালের সেই নির্দেশের ওপর ভর দিয়েই CBI ইতিমধ্যেই মহুয়ার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে। লোকপাল তাঁদের লিখিত নির্দেশে CBI-কে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। তাই মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছিল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই এবার সরাসরি শনিবার মহুয়ার বাবার ফ্ল্যাটে হানা দেয় CBI। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, গেরুয়া শিবির যেন তেন প্রকারণে মহুয়াকে ২৪’র ভোটের আবহে জেলে ঢোকাতে চাইছে। সেই কারণেই CBI’র এই হানাদারি।