নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদা: হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন মাত্র।এরপর বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। আর এই দুর্গাপুজো ঘিরে মেতে উঠেছে ফারাক্কা ব্লকের(Farakka Block) বেনীয়াগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সিংপাড়া এলাকার ওঝা ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপূজা। এই দুর্গাপুজো ৩৫০ বছরে পদার্পণ করেছে। বংশপরম্পরায় এই পুজো হয়ে আসছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। এই ঠাকুরবাড়ির দুর্গা প্রতিমা তৈরীর মৃৎ শিল্পী বৌদ্ধ নাথ পাল বলেন, এই বাড়ির প্রতিমা তৈরি করতেন আমার ঠাকুরদা ,বাবা ।তারপর আমি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই বাড়ির প্রতিমা গড়ার কাজ করে আসছি।
অপরদিকে বাড়ির বড় ছেলে নবীন ওঝা(Nabin Ojha) বলেন ,এই বাড়ির দূর্গা পূজা বংশ পরম্পরায় হয়ে আসছে। এই পুজো ঘিরে এলাকার মানুষের আনাগোনা থাকে প্রবল। বংশ পরম্পরা ধরেই এই বাড়িতে সপ্তমী,অষ্টমী ও নবমী তিন দিন ধরে বাড়িতে পাঠা বলির রেওয়াজ চলে আসছে।দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। বিসর্জনের শেষ করে প্রতিমার কাঠামো লক্ষ্মীপূজো পর আবার মন্দিরে নিয়ে আসা হয়।পাশাপাশি ওই পরিবারের ছোট ছেলে কৌশিক ওঝা বলেন, এই দুর্গাপুজো আগে পারিবারিক পুজো ছিলো। এখন পরিবেশের সাথে সাথে বাড়ির পুজো সার্বজনীন পূজো হয়ে উঠেছে। কারণ এই পুজো দেখতে উভয় সম্প্রদায় মানুষ দর্শন করতে আসেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষজনকে ভোগ খাওয়ানো হয়।বাড়ির মহিলারা মায়ের ভোগ তৈরি করেন।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ,বিশেষ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(CM Mamata Banerjee ধন্যবাদ জানাই । কারণ মূল্যবৃদ্ধির বাজারে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোর জন্য যে টাকা দেন তাতে আমাদের অনেক উপকার হয়। বাড়ির ছোট বউ গুঞ্জন ওঝা বলেন ,এই পুজো ঘিরে খুব আনন্দ হয়। একবছরের অপেক্ষায় থাকি মায়ের আগমন এর জন্য। ষষ্ঠীর দিন মাকে থানে উঠানো হয়। সপ্তমীর দিন সমস্ত পুরুষরা ঘট ভরে নিয়ে আসে। সপ্তমীর সন্ধ্যা থেকে মায়ের ভোগ তৈরি করে নিবেদন করা হয়। এই পূজোর ভোগ তৈরি বাড়ির মেয়েরাই করে।দশমীর দিন মা চলে যান যখন আমাদের মন খারাপ হয়। আবার একবছরের অপেক্ষায় থাকি।