নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদা:মালদা জেলার বিগ বাজেটের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম পুজা হল শান্তি ভারতী পরিষদের দুর্গা পূজা। এই পুজো ৬৩ তম বছরে পদার্পণ করলো। শান্তি ভারতী পরিষদের এবারের থিম দক্ষিণ ভারতের মীনাক্ষী মন্দিরের (Minakhi Temple)আদলে মণ্ডপ।৩৩ কোটি দেবদেবীর মাদুরাই মন্দির। যেখানে রয়েছে ৩৩ কোটি দেবদেবীর ফাইবারের মূর্তি । সাথে থাকছে সাবেকি প্রতিমা ও আলোকসজ্জায় চন্দননগরের বিখ্যাত আলোর সজ্জা ও মালদা জেলার ও আলোক সজ্জা।
আলোর রোশনাই থাকছে এই মন্ডপে। দর্শকদের সুবিধার্থে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে । যাতে প্রতিমা দর্শনে সাধারণ মানুষের কোন রকম অসুবিধা না হয়। এইবার শান্তি ভারতী পরিষদের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকছে থাকছেন প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা । সব মিলিয়ে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের জন্য প্রস্তুত থাকছে এবারের শান্তি ভারতীর দুর্গাপূজা।
অন্যদিকে,মালদহ জেলার গাজোল ব্লকের(Gajol Block) চাকনগরের প্রাচীন পুজোয় নিরামিষ খান গ্রামবাসী ও পুজো উদ্যোক্তারা । ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত গাজোল ব্লকের চাকনগরের কায়েত পাড়ার ২০০ বছরের পুরনো মায়ের পুজোর জন্য গ্রামের সবাই নিরামিষ আহার করেন। মন্ডপ প্রাঙ্গনে কোনরকম আমিষের ছোঁয়া থাকে না। পুজোটি অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে হয় । অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়ার ধুম পড়ে যায় । পুজোকে ঘিরে মেলা বসে । সেখানে প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করে। চাকনগর দুর্গাপূজা কমিটির সেবায়েত শম্ভুনাথ রায় বলেন, এটি গাজোলের প্রাচীন পুজো গুলির অন্যতম আমরা গ্রামের সবাই মিলে পূজোর আয়োজন করে।
এই পূজোর সূচনা ঘিরে জনশ্রুতি রয়েছে দুশো বছর আগে মরা টাঙ্গন নদীতে প্রচুর জল থাকতো একদিন নদীতে মায়ের কাটানো ভেসে ওঠে সেই কাঠামো সংরক্ষণ করা হয় পড়ে স্বপ্ন আদেশে মায়ের পুজো শুরু হয় এখন কমিটি গড়ে পুজো করা হয় এখানে মা খুব জাগ্রত। গ্রামের সকলে ভক্তি শ্রদ্ধা করেন। পূজাতে পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারাও মায়ের দর্শনের জন্য আসেন।পূজোর দিনগুলিতে সবাই নিরামিষ খান। ফল ,মিষ্টি দেওয়া হয়, সবাই উপবাস থেকে অষ্টমীর অঞ্জলি দেয়, প্রাচীন নিয়ম রীতি মেনে পুজো হয় বলে তিনি জানান।