এই মুহূর্তে

জাল নোট থেকে ভাঁওতাবাজি, বিজেপিকে তুলোধনা মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের ভোটে আলিপুরদুয়ার(Alipurduyar) থেকে জিতেছিল বিজেপি(BJP)। একুশের ভোটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জেলার ৫টি আসনেই ফুটেছিল পদ্মফুল। সেই জয় নিয়ে এখনও তীব্র অস্বস্তি রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। মঙ্গলবার সেই আলিপুরদুয়ার জেলার মাটিতে দাঁড়িয়েই বিজেপির তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে দলের এক কর্মীসভায় যোগ দিয়ে মমতা তীব্র আক্রমণ শানেন গেরুয়া ব্রিগেডকে। জাল নোট থেকে একাধিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, উচ্ছেদ থেকে বাংলা ভাগ সব কিছু নিয়েই সরব হন তিনি।

এদিন মমতা বলেন, ‘আপনি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুললেন। সেই টাকা নিয়ে জিনিস কিনতে গেলেন। দেখলেন পুলিশ আপনাকে ধরে নিল। কারণ আপনার টাকাটা জাল(Fake Note)। এতে আপনার কী দোষ? ১০০ শতাংশের ওপর ৫০০ টাকার নোটে জালিয়াতি হয়ে গেছে। ২০০০ টাকার নোটে জালিয়াতি হয়ে গেছে। সব ভেজাল তৈরি করেছে। নোটবন্দির সময় মোদি বলেছিলেন দেশের ভালো হবে। জাল টাকা থাকবে না। এখন গোটা বাজারে জাল টাকা ছেড়ে দিয়েছে। আপনি কেন জাল টাকা বাজারে ছেড়ে দিলেন? বলা হয়েছিল নোটবন্দির ফলে সীমান্তে সন্ত্রাস কমবে। কমেছে? বলা হয়েছিল নতুন দু’হাজার টাকার নোটে মাইক্রো চিপ থাকবে। তা দিয়ে জিপিএস ট্র্যাক করে নোটের অবস্থান নাকি বোঝা যাবে। এসব আসলে গেরুয়া শিবিরের হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির সিলেবাস। এখানে বিজেপি লোকসভায় জিতেছে। বিধানসভায় সব জিতে নিয়ে গেছে। গিয়ে কী করেছে? গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা করে দিয়েছে। খেতে দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই।’  

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গের প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। বামফ্রন্ট সরকার উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জন্য কিছুই করেনি। তৃণমূল ক্ষমতায় এসে একাধিক পর্ষদ গঠন করেছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জনজাতির উন্নয়নের জন্য। অনেক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গের জন্য। তাই আমি মনে করিনা উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। এতকিছু করার পর যখন দেখি বিজেপির মিথ্যে কথায় ফেঁসে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তখন খারাপ লাগে। কী করেছে বিজেপি? চা বাগান খোলার কথা বলেছিল, গ্যাস দেওয়ার কথা বলেছিল। কী হয়েছে! উল্টে দেশে জাল নোটে ভরে গিয়েছে। আগে বিজেপিকে বলতাম জুমলা সরকার। এখন বলি ভেজাল সরকার। উত্তরবঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে বিজেপি। দলের নেতা, বিধায়ক সাংসদরা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি জানিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি, রক্ত দেব। তবু কিছুতেই বাংলা ভাগ হতে দেব না। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। সব বন্দুক ভোঁতা করে দেব। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বন্ধ হওয়া চা বাগান খুলে দেবে। খুলেছে? শুধু শুধু বাংলা ভাগে ইন্ধন দিচ্ছে। কী ভাগ করবে? পাহাড় ভাগ করতে পারবে? গোর্খাদের ভাগ করবে? কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা, চিলা রায়কে ভাগ করতে পারবে? আমাদের সরকার সব কাজ করে, করবেও। আমাদের কাজে কোনও ভুল হলে আমাদেরই বলুন। কিন্তু বিজেপি বা সিপিএমের কথা শুনে কিছু বিশ্বাস করবেন না।’

এদিন গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গও টেনেছেন মমতা। বলেছেন, ‘ভোটের আগে গোর্খাল্যান্ড করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, ভোটের পর পালিয়ে গিয়েছে। আমরা তো এটা করতেই দেব না। তরাই ডুয়ার্সের সঙ্গে আগে ঝগড়া ছিল, আমরা কোনও ঝগড়া চাই না। সবাই আমার বন্ধু। আমরা বাংলাকে ভাগ হতে দেব না। আমরা মানুষে মানুষে বিভাজন চাই না। আমরা সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। উত্তরবঙ্গের জন্য অনেক কিছু করেছি। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কিন্তু আমার দুঃখ, এত কাজ করার পরেও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়ে বিজেপিকে জিতিয়েছেন আপনারা। বিজেপি ভোটের আগে এসে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ভোট মিটলেই সেসব ভুলে যায়। গ্যাসের দাম বাড়ায়, পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ায়। চা বাগান খোলার থেকে শুরু করে সার্বিক উন্নয়ন, কোনও প্রতিশ্রুতিই ওরা পূরণ করতে পারেনি। বিজেপি-সিপিএম যা বলছে, বিশ্বাস করবেন না। আমরা আপনাদের জন্য ছিলাম, আছি, থাকব। চা বাগানের শ্রমিক থেকে শুরু করে সাধার মানুষ, সবার জন্য কাজ করেছি আমরা।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর