নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রত্যাশা ছিল তিনি আক্রমণ শানবেন। শানিওছেন। তাঁর নিশানায় বিদ্ধ হয়েছে বিজেপি(BJP) সহ গেরুয়া শিবির। পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার দিঘায়(Digha) দলের(TMC) কর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়ে মঙ্গলবার হাওড়া(Howrah) ও রিষড়া(Rishra)কাণ্ডে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বাংলার মানুষ যে এই ধরনের দাঙ্গায় বিশ্বাস রাখেন না, তাঁরা যে তা পছন্দ করেন না সেটাও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। সঙ্গে এটা জানাতে ভোলেননি যে বাংলার মানুষ সব কিছু মুখ চুপ করে মেনে নেবেন না। তাঁরা সময় মতো সঠিক জায়গায় সঠিক জবাব দেবেন। দাঙ্গাবাজদের তাঁরাই বাংলাছাড়া করবেন। তিনিও সব কিছু দেখে রাখছেন কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না। আইনের হাত থেকে কেউই রেহাই পাবেন না। ওসব থেকে বড় কথা, এদিন মমতা বাম-রামকে বামে সিপিএম আর বিজেপিকে একাসনে বসিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন।
আরও পড়ুন রিষড়ায় পা রাখার আগেই কড়া বার্তা রাজ্যপালের
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ হিংসা ভালবাসেন না। হিংসা বাংলার সংস্কৃতি নয়। এটা অপরাধীদের দিয়ে হিংসা তৈরি করা। আগে সিপিএম এমন করত। আমি আপনাদের এখানে মিটিংয়ে এসেছি। আসার জো নেই আমার। সারা ক্ষণ আমাকে পড়ে থাকতে হয়, কখন কোথায় গিয়ে দাঙ্গা করবে বিজেপি। ওরা বোঝে না, বাংলার মানুষ দাঙ্গা ভালবাসেন না। দাঙ্গা করা বাংলার সংস্কৃতি নয়। আমরা দাঙ্গা করি না। রাম নবমীর মিছিলে বন্দুক নিয়ে নৃত্য করছে। রামচন্দ্র বলেছিলেন বন্দুক নিয়ে মিছিল করতে? এটা সিপিএম করত। ৩৪ বছর অত্যাচার দেখেছেন তো! ভুলে যাননি তো! নন্দীগ্রাম, খেজুরি, তমলুক, মহিষাদল, কোলাঘাট, চণ্ডীপুর, হলদিয়া ভুলে যাননি তো! মনে আছে, হলদিয়ায় মিটিং করতে গিয়েছিলাম। লোকাল মাইক্রোফোনও নিতে দেয়নি। কলকাতা থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে এসেছিলাম। রাস্তা আটকে দিয়েছিল নন্দীগ্রামে।’
আরও পড়ুন বিজেপির মুখোশ খুলে দিয়ে পুলিশের হাতে হাওড়ার বন্দুকধারী
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘এখন বাম আর রাম এক হয়েছে। বিজেপির গুন্ডাদের কথা বলছি। সকলকে বলছি শান্তি বজায় রাখুন। মা দুর্গা আল্লাহ কোনদিন দাঙ্গার কথা বলেনি। যে ছেলেটা ধরা পড়েছে ওকে মুঙ্গের থেকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। যারা দাঙ্গা করে লোক মারছেন তারা জেনে রাখুন তাঁদের ছেড়ে কথা বলব না। দিল্লির কেউ বাঁচাতে পারবে না। যতই দিল্লি দেখান তাঁদের রাজ্যের মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না। যারা বাংলার টাকা বন্ধ করতে চাও আর দাঙ্গা করতে চাও তাঁদের কেউ ছেড়ে কথা বলবে না। যারা দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত তাদের ছেড়ে কথা বলার প্রশ্ন আসে না। আমি এদের কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।’