নিজস্ব প্রতিনিধি: ৩ দিনের জঙ্গলমহল(Junglemahal) সফরে ঝাড়গ্রামে(Jhargram) পৌঁছে একদম অন্য মেজাজে ধরা দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তবে ঝাড়গ্রামে যাওয়ার আগে হঠাৎ করেই তিনি চলে আসেন পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার শালবনীতে(Shalboni)। সেখানকার বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কথা বলেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। এরপর ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা পীঠ স্কুলও পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এই স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে গানে তালও মেলান তিনি। আর তখনই তিনি ক্যামেরা বন্দী হন একদম ভিন্ন মেজাজে। কার্যত জেলা সফরের প্রথম দিনই ঝাড়গ্রামে অন্য মেজাজে পাওয়া গেল মুখ্যমন্ত্রীকে৷
আরও পড়ুন ‘শমীক তোর পায়ে পড়ি রে, নব্যেন্দুকে বদলে দে রে’
এ দিন ঝাড়গ্রামে পৌঁছেই প্রথমে রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীরই লেখা গান গেয়ে তাঁকে স্বাগত জানান স্কুলের শিক্ষিকা এবং ছাত্রীরা৷ গান শুনে অভিভূত মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘বলুন তো এই গানের কথা এবং সুর কার?’ জবাবে স্কুলেরই এক শিক্ষিকা হেসে বলেন, ‘দিদি এটা তো আপনারই লেখা!’ সারদা বিদ্যাপীঠের সন্ন্যাসিনী এবং শিক্ষিকাদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ স্কুলের কোনও সমস্যা আছে কি না, তাও জানার চেষ্টা করেন তিনি৷ পাশাপাশি, কথা বলেন স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গেও৷ গান শুনে শিক্ষিকা এবং ছাত্রীদের প্রশংসাও করেন তিনি৷ পরে স্কুলের প্রার্থনা সঙ্গীতও মুখ্যমন্ত্রীকে গেয়ে শোনান শিক্ষিকা এবং ছাত্রীরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের মাঝেই সামনে এসেছে যে তিনি এদিন ও আগামিকাল দুই দফায় বৈঠকে বসতে চলেছেন কুড়মি নেতাদের সঙ্গে যা গেরুয়া শিবিরের কাছে বড়সড় ধাক্কা হয়ে উঠতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি সহ নিজেদের বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে কুড়মি সমাজ৷ রাজ্য সরকারের দাবি, এই নিয়ে টালবাহানার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকারই৷
আরও পড়ুন ভুয়ো Rank দাখিল করে MBBS-এ ভর্তির চেষ্টা, গ্রেফতার ছাত্রী
ঝাড়গ্রাম সফরে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যোগ দেবেন বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে৷ জঙ্গলমহলের আদিবাসী সমাজের একটা বড় অংশই ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পের ওপরে নির্ভরশীল৷ মুখ্যমন্ত্রী এর আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেহেতু ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে, তাই এর বিকল্প নতুন প্রকল্প শুরু করবে রাজ্য সরকার৷ ঝাড়গ্রাম সফর থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করেন কি না সেটাও দেখার৷ তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে আদিবাসী সমাজের সমর্থন আদায় যে তাঁর অন্যতম লক্ষ্য হতে চলেছে এই সফরে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
