নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁরা দেশের শাসক দল। ১০টিরও বেশি রাজ্যে চলছে তাঁদের রাজত্বপাট। তারপরও নাকি তাঁদের প্রার্থী মিলছে না ঠিকমতন। আর তাই বাংলায় কৃষ্ণনগর লোকসভা(Krishnanagar Constituency) কেন্দ্রের জন্য শেষমেষ তাঁরা বেছে নিয়েছেন রানি-মা অমৃতা রায়কে(Amrita Roy)। শুধু কৃষ্ণনগরবাসী নয়, বাংলার পরিচিতরা তাঁকে সেভাবেই চেনেন। কিন্তু কেউ তাঁকে ‘রাজমাতা’ বলে সম্বোধন করে না। কেননা এক তো রাজতন্ত্রের অবসান ঘটেছে স্বাধীনতার পরে পরেই, তাই নতুন করে রাজা-রানী হওয়ার আর কোনও গপ্পো নেই। আর তারওপর অমৃতা রায়ের ছেলে এখনও রাজা বলে পরিচিতিও পাননি। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের তরফে তাঁকে ‘রাজমাতা’ বলেই তুলে ধরা হচ্ছে। এদিন অর্থাৎ রবিবার দুপুরে সেই ‘রাজমাতা’-কে নাম না করেই নিশানা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। যতদিন অমৃতা রায় রাজনীতির জগতে পা রাখেননি, ততদিন মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন। এবার সরাসরি নিশানা বানিয়ে দিলেন।
এদিন অর্থাৎ রবিবার কৃষ্ণনগরের অদূরে ধুবুলিয়াতে ছিল মমতার সভা। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের(TMC) প্রার্থী হয়েছেন মহুয়া মৈত্র(Mahua Moitra)। এদিন মমতা মহুয়ার সমর্থনেই সেই সভাতে যোগ দেন। ওই সভা থেকেই তিনি মহুয়ার প্রতিপক্ষ তথা বিজেপি(BJP) প্রার্থী অমৃতা রায়কে নিশানা বানান। তিনি বলেন, ‘সিরাজউদ্দৌলাকে বাংলার লোক সমর্থন করে, মীরজাফরকে করে না। সিরাজউদ্দৌলা ভালো না খারাপ তা নিয়ে আমি আলোচনা করছি না। যে লোকটা লর্ড ক্লাইভের বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধকে খতম করার জন্য, সেই নামটাকে নিয়ে এসে— মোদিবাবু আপনি কি ইতিহাস ভুল গেলেন? আবার বলছে রাজমাতা। কোথা থেকে মাতা রাজ হল? এখন দেশে তো আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে। আমরা সবাই প্রজা কেউ রাজা নেই। যারা যারা রাজা আছেন, তাঁরা গিয়ে রাজপ্রাসাদে থাকুন। সেখানে গিয়ে জনগণের ধর্ম পালন করুন। মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। তাহলে কিন্তু ইতিহাসের পাতা উল্টাব। আর তা করলে জায়গা পাবেন না, মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবে। প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি। তাই এদের দম দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে।’