নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই উত্তরবঙ্গ(North Bengal) সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। নবান্ন সূত্রে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গিয়ে ২টি প্রশাসনিক সভাও(Administrative Review Meeting) করবেন তিনি। সেই সঙ্গে যেতে পারেন পাহাড়েও। সেখানে ভূমিহীনদের হাতে জমির পাট্টা(Land Lease Paper) তুলে দেওয়া পাশাপাশি চা বাগান শ্রমিকদের হাতেও বসত জমির পাট্টা তুলে দেবেন তিনি। দুটি প্রশাসনিক বৈঠকের পাশপাশি থাকছে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানও। তবে এই সফরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় এই সফরের জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। ধূপগুড়ি(Dhupguri) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের পরে এটাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম উত্তরবঙ্গ সফর হতে চলেছে। সেই হিসাবে রাজনৈতিক ভাবেও মুখ্যমন্ত্রী সেখানে কোন বার্তা দেন সেদিকেও সবাই তাকিয়ে থাকবেন।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর গরিব ভূমিহীন মানুষের হাতে পাট্টা তুলে দেওয়ার কাজে বিশেষ জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১২ বছরে রাজ্যে ৪ লক্ষাধিক মানুষকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে জমির নিঃশর্ত দলিল তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলার প্রায় ৬০ হাজার নাগরিকের হাতেও। এর আগেও পাহাড়ে গিয়ে বেশ কয়েক হাজার পাট্টা বণ্টন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার উত্তরবঙ্গের সমতলের কয়েক হাজার মানুষও ভীষণভাবে উপকৃত হতে চলেছেন। কেন্দ্র যখন গ্রামীণ মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে, তখন এই বিষয়টিতে আরও বেশি জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যদি ডিসেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গে যান তাহলে সেখানে তিনি ২ হাজার মানুষের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেবেন। সেই অনুযায়ী কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। হয়েছে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকও। শুধু তাই নয়, নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে, দক্ষিণবঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী পাট্টা বিলি করতে পারেন।
উত্তরবঙ্গজুড়ে তো বটেই পাহাড়েও এখন পদ্মশিবিরের রীতিমত ধস নেমেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জেতা ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটিও সাম্প্রতিককালের উপনির্বাচনে হারিয়ে বসে আছে বিজেপি। পাহাড়ের রাজনৈতিকদলগুলিও এখন বিজেপির বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে পাহাড়বাসীর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে সুর তুলেছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর রাজনৈতিক ভাবেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তিস্তার হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কথা বলবেন ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গেও। হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার পুনর্গঠন নিয়ে তাঁরা সঙ্গে বৈঠক হতে পারে জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপার সঙ্গেও। তবে এই সবই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সরকারি ভাবেও তাই কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
