নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০০৭ সালে গুটি গুটি পায়ে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল সেটাই ১৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা অনুপ্রেরণামূলক স্কুল হিসাবে উঠে এল। নিঃসন্দেহে এই ঘটনা বাংলার শিক্ষাজগতে এক বড়সড় সাফল্য। হাওড়া(Howrah) শহরের বেলেলিয়াস লেন এলাকার সামারিটান মিশন স্কুল(Samaritan Mission School) বিশ্বের সেরা ১০টি অনুপ্রেরণামূলক স্কুল হিসাবে উঠে এল এক সমীক্ষায়। আর সেই সাফল্যের জেরেই এই স্কুলের সব শিক্ষক, পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের টুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। শুক্রবার টুইট(Tweet) করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সবাইকে বেশ আনন্দের সঙ্গে জানাতে পেরে খুশি হচ্ছি যে হাওড়ার সামারিটান মিশন স্কুল বিশ্বের সেরা ১০টি অনুপ্রেরণামূল স্কুলের মধ্যে উঠে এসেছে। প্রতিকূলতাকে কীভাবে কাটিয়ে উঠতে হয় সেই বিভাগেই তাঁরা বিশ্বের সেরা স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে উঠে এসেছে। ব্রিটেনের টি-ফোর(T-4) নামে একটি গবেষণামূলক সংস্থার সমীক্ষায় এই ফল পাওয়া গিয়েছে। এই স্কুলটির সঙ্গে বিশ্বের সেরা কিছু সংস্থার পার্টনারশিপও রয়েছে। সব পড়ুয়া, শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিনন্দন।’
হাওড়া শহরের বেলেলিয়াস লেন এলাকায় গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে ২০০৭ সালে সামারিটান মিশন স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যম এই স্কুলই এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্কুল হিসাবে উঠে আসায় বাংলার শিক্ষাজগতেও তার প্রভাব পড়তে চলেছে। বিরোধীদের যাবতীয় অপপ্রচারকে ঠেকিয়ে বাংলার বুকে শিক্ষার পরিবেশ যে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে তা ফের সামনে এল হাওড়ার এই স্কুলের সাফল্যে। এই স্কুলের সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ওই এলাকার গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের স্কুলে এনে পড়ানোর ক্ষেত্রে। কেননা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই এলাকায় ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাপ্রদান করা খুব একটা সহজ কথা ছিল না। সেই বাধা এই স্কুল কর্তৃপক্ষ অতিক্রম করতে সফল হয়েছে আর সেই অতিক্রমতার জন্যই তাঁরা এখন বিশ্বের সেরা অনুপ্রেরণামূলক স্কুল হিসাবে উঠে এসেছে।
একই সঙ্গে সামনে এসেছে একটি তথ্য যে রাজ্য সরকারের তরফে এবার চেষ্টা করা হচ্ছে, বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যাতে এই রাজ্যে তাঁদের ক্যাম্পাস গড়ে তোলে। ভারতে বেশ কিছু বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের ক্যাম্পাস গড়ে সেখানে শিক্ষাপ্রদান করছে। সেক্ষেত্রে এই রাজ্যেও যাতে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ক্যাম্পাস গড়ে তোলে তার জন্য এবার উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি শিক্ষাসংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানিয়েছেন, ‘ভিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস যদি বাংলায় খোলা যায়, তা হলে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হবে কেন? এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যদি তার নীতির পরিবর্তন ঘটায়, তবে অনেক কিছু স্বচ্ছন্দে হতে পারে। অনেক নামী প্রতিষ্ঠান এ রাজ্যে ক্যাম্পাস খোলায় আগ্রহ দেখিয়েছে। কেন্দ্র তার নীতির পুনর্বিবেচনা করলে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসও চালু হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিশা মেনে আমরা রাজ্যে উচ্চ শিক্ষার আন্তর্জাতিকরণের অভীষ্ট লক্ষ্যে এগোচ্ছি। আমাদের রাজ্যে বহু নামী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে। ব্রিটেনের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাকে তাদের কর্মকাণ্ডের গন্তব্য হিসাবে পাখির চোখ করেছে।’