এই মুহূর্তে




কলকাতা থেকেই চন্দননগরে ৬টি জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Courtesy - Facebook




নিজস্ব প্রতিনিধি: পাঁজি মতে শুক্রবার যে তিথিই হোক না কেন, ফরাসডাঙার বুকে হৈমন্তিকার আগমনে শারদ পঞ্চমীর আবহ নেমে এসেছে। মণ্ডপে মন্ডপে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। আর পড়বে নাই বা কেন, এই উৎসবের জন্যই বছরভর অপেক্ষা করে চন্দননগর। এদিন সেই জগদ্ধাত্রী পুজোর মহাপঞ্চমী। তিথি যাই হোক না কেন উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে হুগলি জেলার অন্যতম এই মহকুমা শহরে। একসময়কার ফরাসী উপনিবেশ সেজে উঠেছে উৎসবের সাজে। এই আবহেই এদিন অর্থাৎ শুক্রবার বিকালে কলকাতার পোস্তা এলাকায় Posta Bazar Merchants’ Association’র জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে চন্দননগরের ৬টি পুজোর উদ্বোধন করেন। এদিনই আবার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হচ্ছে।  

এদিন মুখ্যমন্ত্রী চন্দননগরের যে ৬টি পুজোর উদ্বোধন করেন সেগুলি হল ব্রাহ্মণপাড়া সর্বজনীন, হাঠখোলা দৈবকপাড়া, বোড়ো সর্বজনীন, উর্দিবাজার সর্বজনীন, বারাসত ব্যানার্জিপাড়া সর্বজনীন এবং মধ্যাঞ্চল সর্বজনীন।  চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এবার ডিজে বক্স ও শব্দবাজি বর্জিত জগদ্ধাত্রী পুজো হবে। গত কয়েক বছর ধরেই পরিবেশবান্ধব পুজোকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে চন্দননগরে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবার চন্দননগর থানা এলাকার ১৩৩টি ও ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার ৪৪টি বারোয়ারি পুজো কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। তবে পুরসভার সীমানা অনুযায়ী চন্দননগর পুরসভার মধ্যে ১৪২টি, ভদ্রেশ্বর পুরসভার মধ্যে ২৪টি ও চাঁপদানী পুরসভার ১১টি পুজো রয়েছে। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর উৎসব। মণ্ডপ ও প্রতিমার চালচিত্রে চমকের পাশাপাশি শোভাযাত্রায় আলোর থিম যুদ্ধ এই উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই শহরের আলোক শিল্পীরা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও আলোর জাদুতে বুঁদ করেন দর্শনার্থীদের। সেই বার্তাও এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হওয়া চন্দননগরের মধ্যাঞ্চল সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো এবার ৫৩ বছরে পা দিয়েছে। এই ক্লাবের পুজো বিগ বাজেটের। তাদের বাজেট প্রায় দেড় কোটি টাকা। এবার তাদের থিম ‘মনে রেখো’। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপের মধ্যেই তৈরি করা হচ্ছে স্বপ্নের জগৎ। ফুলের বাগানে উড়ে বেড়াবে পাখি, বিচরণ করবে হরিণ। মা আসবেন সাবেকি সাজে। শোলার চালচিত্রে ফুটে উঠবে ময়ূর। তবে এই পুজো কমিটির সবথেকে বড় চমক ‘লেজার শো’। পুজো মণ্ডপ লাগোয়া পুকুরের জলে লেজারের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে অঙ্গদানের কাহিনি। একেকটি শো পাঁচ মিনিটের। তাতে কিডনি নষ্ট হওয়া অনাথ শিশুর অঙ্গ পাওয়ার আকুতি ফুটে উঠবে লেজার ও ধ্বনির মাধ্যমে। সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত এই শো দেখানো হবে। শুধু তাই নয়, অঙ্গ প্রতিস্থাপন সহ নানা বিষয় লেজারের ছটায় ফুটিয়ে তোলা হবে। হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু থেকে ১৬ জনের টিম আসবে চন্দননগরে। তাঁরাই দর্শনার্থীদের মোহিত করবেন লেজারের কারিকুরিতে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শান্তিপুরের রাস মেলা উপলক্ষে ৬৩ টি রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু

স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে ফের কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

২৫ নভেম্বরের আগে কলকাতায় শীত দূর অস্ত, জানাল আবহাওয়া অফিস

মালদায় প্রশাসনের স্পষ্ট নির্দেশ জলের মধ্যে করা যাবে না ছট পুজোর মঞ্চ

প্রয়াত হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সহপাঠী, বারাসত পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান

পুজোর ছুটিতে প্রেম, তারপরেই ঘরছাড়া নাবালিকারা, বাড়ি ফেরাতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর