নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাধীনতা দিবসের সকালেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। কেষ্টগড় মানে অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondol) জেলা বীরভূমের(Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে(Bikash Roy Chowdhury)। সেই জায়গায় আসছেন জেলা পরিষদের ১৯ নম্বর আসনে জেতা তৃণমূল প্রার্থী কাজল শেখ(Kajal Sheikh)। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে শপথ নিতে চলেছেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্ট বিরোধী বলে একসময় তকমা পাওয়া কাজলকে চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই বলতে শোনা গিয়েছিল যে, ‘কেষ্টদা আমার রাজনৈতিক গুরু। ওনার দেখানো পথেই ভোটে লড়েছি, আর জয় এসেছে। তাই এই জয় অংশীদার কেষ্টদাও।’ যদিও শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশেই অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে জেলায় দল দেখার দায়িত্ব কাজলকে দেওয়া হয়েছিল। দলনেত্রীর নির্দেশেই তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদে প্রার্থীও হয়েছিলেন। এবার দলনেত্রীর নির্দেশেই জেলা সভাধিপতি হতে চলেছেন। কার্যত কেষ্টর জেলায় আরও গুরুত্ব বাড়ল কাজলের। অনুব্রতহীন বীরভূমের মাটিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি কাজল শেখ। কেষ্টর অনুপস্থিতিতে জেলায় তৃণমূলের রাশ নিজের দখলেই রেখেছেন। দলনেত্রীর নির্দেশে দলের কোর কমিটিতে আগেই স্থান পেয়েছিলেন কাজল। এবার পেলেন জেলা সভাধিপতির পদ।
সব থেকে বড় কথা এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন বাংলার জেলা পরিষদগুলির সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি পদের সংরক্ষণের যে তালিকা বার করেছিল সেখানেই দেখা যায় বীরভূম জেলার ক্ষেত্রে সভাধিপতির পদটি সংরক্ষণের গেরোতে আনা হয়নি। সেটি সাধারনই থাকছে। সেই সূত্রে অনেকেই মনে করেছিলেন, বিকাশ রায়চৌধুরী জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে থেকে যেতে পারেন। কিন্তু এদিন তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই আগামিকাল বীরভূমের জেলা পরিষধের সভাধিপতি পদের দায়িত্ব নিতে চলেছেন কাজল শেখ। এখন দেখার বিষয় এই পদ থেকে অপসারিত বিকাশ রায় চৌধুরীকে দল কোনও বাড়তি দায়িত্ব দেয় কিনা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ির পুরপ্রধান ইস্তফা দেন। সেই ইস্তফার পিছনে অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এসেছিল বিকাশের বিরুদ্ধে উঠে আসা এক বিস্ফোরক অভিযোগ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এবার বিকাশকেও জেলা পরিষদের দায়িত্ব থেকে রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হল।