নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রশাসনিক বৈঠকেই(Administrative Meeting) জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিককে মঞ্চে দাঁড় করিয়েই জেলার দুর্নীতিপরায়ণ সরকারি কর্মচারীদের চরম বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সোমবার পুরুলিয়া(Purulia) জেলায় পা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই তিনি কলকাতা থেকে সড়কপথে চলে যান দুর্গাপুরে। এদিন সেখান থেকেই তিনি হেলিকপ্টারে পৌঁছে যান পুরুলিয়ায়। যোগ দেন প্রশাসনিক বৈঠকে। আর সেই বৈঠকেই তিনি ফাঁস করেন বড়সড় দুর্নীতি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে সরব হতে দেখে মুখ খোলেন বৈঠকে অংশ নেওয়া জেলা পরিষদের এক সদস্যও। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তৃণমূলের ওই নেতা অভিযোগ করেন যে, ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্বের নাকি হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। তা নাকি কিছু সরকারি কর্মচারীদের ‘পকেটে’ চলে যাচ্ছে। আর সে কথা শুনেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই, তিনি সরাসরি পুরুলিয়ার জেলা শাসকের(District Magistrate) উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানিয়ে দেন ওই জেলাশাসকের প্রতি তাঁর ধারণাই বদলে গেল।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তৃণমূলের নেতা অভিযোগ করেন যে, স্থানীয় ইটভাটা থেকে জেলা প্রশাসন যে অর্থ আদায় করে, তার হিসেব পাওয়া যায় না। সেগুলো নাকি কয়েক জন পকেটে ঢোকান। অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন করেন জেলা শাসককে। উদ্বেগের গলায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি। করছে প্রশাসনের নীচের তলার লোকেরা। নিজেরা টাকাটা নেয়, নিজেরাই খেয়ে নেয়! কী জেলা চালাচ্ছ তুমি? এত দিন জেলায় আছো। আমার ধারণাই বদলে গেল। এত কিছু দিচ্ছি মানুষকে, তবু কয়েকজন এত লোভী কেন হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সবসময় শাসন করি। আমি কথা বলছি, তোমার পুলিশ চলে যাবে, তদন্ত করবে। একে বলে প্রশাসন, একে বলে কাজ। গরিব মানুষ যখন একটা কমপ্লেন করে, আমি নিতে পারি না। সে যেই হোক। ওই ওপরে ওপরে ঘুরে বেড়িয়ে ছবি তুলে কোনও কাজ হয় না। দুয়ারে সরকারে যাঁরা যাচ্ছেন, কাজ করে দেবেন। এবার আর অনুরোধ নয়, সোজাসুজি নির্দেশ দিচ্ছি।’