নিজস্ব প্রতিনিধি: মাছ চাষের(Fish Farming) মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে এবার রাজ্যের বেকার যুবক(Jobless Youth) ও মৎস্যজীবীদের(Fishermen) পাশে দাঁড়াতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। এরজন্য ৪ কোটি টাকার বেশি অনুমোদন করেছে রাজ্যের মৎস্যদফতর(Fisheries Department)। প্রতিটি মৎস্যজীবী পাবেন ৫ হাজার টাকা। এই টাকা দেওয়া হবে মূলত ছোটমাছ চাষ করতে। মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন রাজ্য সরকারের কাছে নথিবদ্ধ থাকা প্রায় ৯ হাজার মৎস্যজীবী।
আরও পড়ুন ব্যর্থ একাধিক ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য, উজ্জ্বল মমতার বাংলা
রাজ্য মৎস্যদফতর সূত্রের খবর, এতদিন মাছ কিনে দেওয়া হতো মৎস্যজীবীদের। কিন্তু এবার সেই প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে রাজ্য। মূলত যাঁরা মাছের চারা কিনে নিজের পুকুর বা জলাশয়ে বড় করে বিক্রি করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদেরকেই টাকা দেবে রাজ্য। এই প্রকল্প কার্যকর করার জন্য জেলায় জেলায় ৯ দফা নির্দেশনামাও পাঠানো হয়েছে। টাকা পাওয়ার পর উপভোক্তারা তার সঠিক সদ্বব্যবহার করছেন কি না, তার জন্য নজরদারি চালাবে সংশ্লিষ্ট জেলার মৎস্য বিভাগ।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই মিটিয়ে দেওয়া হবে সাম্মানিক, বরাদ্দ ২০০ কোটি
প্রথম ধাপে, আপাতত দেওয়া হবে মাথাপিছু ১ হাজার টাকা। এজন্য ছাড়া হয়েছে ৮৭ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। এই মৎস্যজীবীরা প্রথম ধাপের টাকা খরচের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিলেই পরের কিস্তির টাকা পাবেন। সংশ্লিষ্ট মৎস্যচাষি যে মাছ চাষ করছেন এবং উৎপাদনের পর তা বিক্রি করে কত আয় হল, তার বিস্তরিত তথ্যও দফতরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি জেলায় কতজন এই টাকা পাবেন তার তালিকাও তৈরি করেছে মৎস্য দফতর। যেমন কোচবিহার, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি রয়েছেন ৬৫৭ জন উপভোক্তা। ৫৪৮ জন করে মৎস্যজীবী এই টাকা পাবেন বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলায়।