নিজস্ব প্রতিনিধি: ধাক্কা বাংলার(Bengal) শাসক শিবিরে। শুনলে আরও অবাক হয়ে যাবেন তৃণমূলের(TMC) নেতামন্ত্রীদের সেই ধাক্কা দিলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে চুক্তির ভিত্তিতে(Contract Basic) ডাক্তার, নার্স, ডেটা এন্ট্রি ম্যানেজার এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান-সহ বিভিন্ন পদে মোট ৭,৯৫৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে চলেছে সরকার। এ ছাড়াও বেসরকারি এজেন্সি মারফত প্রায় ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়া হবে। রাজ্যের বিভিন্ন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শহরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আর্বান হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার এবং সরকারি পলিক্লিনিকে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে যাতে অনিয়মের কোনও অভিযোগ না ওঠে তার জন্য এখন থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister)।
আরও পড়ুন ১০০ দিনের কাজে আকা আটকে এখন গ্রামেই একঘরে বিজেপি
রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য জেলাস্তরে যে ‘সিলেকশন কমিটি’ রয়েছে, সেখানে এতদিন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা মাতব্বরি করতেন বলে বার বার অভিযোগ উঠেছে। এ বার তাঁদের হটিয়ে জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সেই দায়িত্বভার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত সিলেকশান কমিটি থেকে বাদই পড়ে গেলেন ঘাসফুলের নেতামন্ত্রীরা। রাজ্যের সরকারি স্তরে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি জেলায় ‘ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটি’ রয়েছে। এত দিন পর্যন্ত সেই কমিটির হর্তাকর্তা ছিলেন জেলারই শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁরা মূলত জেলাশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে ঢোকার সুযোগ পেতেন। কমিটিতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, প্রোগ্রাম অফিসার এবং এমএসভিপিরা থাকলেও রাজনৈতিক নেতারাই বকলমে ছড়ি ঘোরাতেন। কিন্তু তাঁদের নেওয়া নিয়োগ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিগত কয়েক বছরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি অস্থায়ী ডাক্তার, নার্স নিয়োগে যোগ্যতার থেকেও রাজনৈতিক আনুগত্যকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, বলেও অভিযোগ ওঠে। যা কার্যত বিরোধীদের হাতে বাড়তি অস্ত্রের যোগান দিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন মরসুমের শীতলতম দিন, কলকাতায় তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রির ঘরে
এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ‘ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটি’ পুনর্গঠন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেইমতো গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। তাতে বলা হয়েছে, এবার থেকে ‘ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটি’র অন্যতম সদস্য হবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক। তবে আগের মতো তিনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কোনও প্রতিনিধিকে সিলেকশন কমিটিতে মনোনীত করতে পারবেন না। তাঁর সঙ্গে সদস্য হিসেবে থাকবেন সিএমএইচও, অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য), প্রোগ্রাম অফিসার, মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি এবং কোনও একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।