নিজস্ব প্রতিনিধি: একসময়কার বাম দুর্গ। পরে সেখানে ঘাসফুল ফুটলেও সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি। উনিশের ভোটে নামমাত্র ব্যবধানে জয়ী হলেও একুশের ভোটে সেখানে ফুটেছে পদ্মফুল। যখন আরও একটা ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে তখন সেখানে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন সেই বাম-বিজেপিকেই। বললেন, ‘১ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা, ৬০ হাজার পুলিস ও বিভিন্ন দফতরে ৫ লক্ষ নিয়োগ হবে। কিন্তু চাকরি দিতে গেলেই সিপিএম-বিজেপি কুটুস করে মামলা করে দিচ্ছে। ওদের একটু মায়া হয় না? বেকার ছেলেরা চাকরি পাবে। ওদের বলুন এভাবে কারও চাকরি আটকাতে নেই। মানুষের চাকরি আটকাবেন না। সিপিএম(CPIM) ও বিজেপি(BJP) নেতাদের বলুন দয়া করে বেকার যুবক যুবতীদের ভবিষ্যত নষ্ট করবেন না।’ হুগলি জেলার(Hooghly District) আরামবাগের(Aarambag) মাটিতে দাঁড়িয়ে সোম দুপুরে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ভুললে চলবে না উনিশের ভোটে এই আরামবাগেই তৃণমূল জিতেছিল দেড় হাজারেরও কম ভোটে। আবার একুশের নির্বাচনে আরামবাগ মহকুমার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছে বিজেপি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরামবাগের সভা থেকে বলেন, ‘চারদিকে চাকরি চাই, চাকরি চাই আওয়াজ। আমরা চাই ৫ লক্ষ মানুষকে নিয়োগ করতে। জেলায় জেলায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ তো করাই হয়েছে। তা আরও বাড়বে। শিল্প হবে, চাকরি হবে। বেকার ছেলেরা চাকরি পাবে। কিন্তু চাকরি দিতে গেলেই সিপিএম-বিজেপি মামলা করে দিচ্ছে। ওদের একটু মায়া হয় না? কোর্টে যে কেউ যেতে পারে। এটা তার অধিকার। এত শিক্ষক লাগবে। এত লোকের চাকরি হবে। এত পোস্ট খালি রয়েছে। আপনাদের মায়া লাগে না? আপনাদের জন্য নিতে পাচ্ছি না। এই কয়েকটা সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি নেতার জন্য। কয়েকটা ফুরফুরের জন্য। উড়ে বেড়াচ্ছে। চাকরি পেলে তাঁদের লোকসান। তাঁরা চায় না লোক নেওয়া হোক। ওরা চায় না কারোর চাকরি হোক। যেই আমরা রেডি করছি তেমনি টুক করে একটা কেস ঠুকে দিচ্ছে। দিয়ে, হাসতে হাসতে বলেছে, চাকরিটা করতে দেব না। জমিদারি পেয়ে গিয়েছে! সাহস থাকলে ভোটে লড়ুন। রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রের রাজনীতিটা করুন। দুর্নীতি করবেন না। এটাও এক ধরনের দুর্র্নীতি। যান রেলে গিয়ে খোঁজ নিন। কত দুর্নীতি করেছেন খোঁজ নিন। কই আমরা তো বাধা দিই না! কই আমরা তো বলি না! মনে রাখবেন, চাকরিবাকরি আটকাতে নেই।’