এই মুহূর্তে

গঙ্গা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ৮৬জনের হাতে পাট্টা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলা সফরে বার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ৩ দিনের তাঁর এই জেলা সফরে এদিনই তাঁর কলকাতায়(Kolkata) ফেরার কথা। তার আগে শুক্রবার সকালেই তিনি চলে গেলেন মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার সামসেরগঞ্জে(Samserganj)। সেখানে এদিন তিনি গঙ্গার ভাঙনে(Ganga Erosion) ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। তারপরে তিনি যোগ দেন একটি সরকারি অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠান থেকেই একদিকে তিনি যেমন ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ৮৬জনের হাতে পাট্টা তুলে দেন তেমনি গঙ্গা ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্রের নীরব ভূমিকাকে তীব্র কটাক্ষ হেনেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, এই ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্র সরকার যেখানে হাত গুটিয়ে বসে আছে সেখানে তাঁর সরকার ৫ বছরে ১০০০ কোটি টাকা খরচা করেছে।

আরও পড়ুন সরকারি জমিতেও গড়া যাবে বেসরকারি শিল্পকারখানা, সিদ্ধান্ত রাজ্যের

এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মালদা থেকে সড়ক পথেই চলে আসেন সামসেরগঞ্জে। তারপর পাহাড়ঘাটি, প্রতাপগঞ্জ, মহেশটোলা, লোহরপুর, চাচণ্ড, ধানঘরা এলাকা ঘুরে ভাঙন খতিয়ে দেখেন। তারপর গঙ্গা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে জমির পাট্টা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেইখানেই তিনি এই ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্র সরকারের উদাসিনতায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, ‘ওরা ভাঙন ঠেকাতে কিছু করেনি। আমরা বার বার সংসদে দাবি তুলেছি, মন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছি, আমি নিজে এই ভাঙন ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু ওরা কিছুই করেনি। ওরা যতটা দাঙ্গা নিয়ে মাথা ঘামায়, যতটা বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য মাথা ঘামায়, যততা অত্যাচার নিয়ে মাথা ঘামায়, যতটা বঞ্চনা করার জন্য মাথা ঘামায়, তার ছিটেফোঁটাও বাংলার জন্য ভাবে না। মাথা টা যদি ভালো কাজে ব্যবহার করত তাহলে মানুষের উপকার হত। ফরাক্কা ব্যারেজ হওয়ার পরে থেকেই এই ভাঙনটা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার না দিলেও আমরা এখনও পর্যন্ত ১০০০ কোটি টাকা খরচ করেছি ভাঙন ঠেকাতে। আজ আমি আরও ১০০ কোটি টাকা ঘোষণা করলাম। নতুন করে যারা ঘর বাড়ি করবেন তারা চার পাঁচ কিলোমিটার দূরে করবেন।’

আরও পড়ুন কলকাতায় থাকেন, সম্পত্তি কর দিয়েছেন, নাহলেই কিন্তু দুয়ারে নোটিস

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন গঙ্গার ভাঙন ঠেকাতে বেশ কিছু কথা বলেন। যার অন্যতম হল নয়া প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এবার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নদীর পাড়ে ভেটিভার ঘাস, সমুদ্রপাড়ের মতো ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগানো হবে। মালদহ-মুর্শিদাবাদ জেলার এই ভাঙন রোধে দিঘাকে ‘মডেল’ করা হবে। কারণ, দিঘায় পাড় সহজে ধসে পড়ে না। নতুন প্রযুক্তিতে কাজ হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, গঙ্গার ভাঙনের কবল থেকে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাঁচাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান। ঘাস আর ম্যানগ্রোভের পাশাপাশি গঙ্গার পাড় থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আর নতুন করে কোথাও কোনও বাড়ি তৈরি করা যাবে না বলেও এদিন তিনি ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘গঙ্গার ভাঙনটা এখন একটা সিরিয়াস ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। এটা সেন্ট্রাল সাবজেক্ট। মালদার মতোই সামশেরগঞ্জের অবস্থা খারাপ। ধুলিয়ানেও এই অবস্থা। ৭ বছর টাকা দেয়নি কেন্দ্র। ফরাক্কার জলবণ্টন চুক্তির ৭০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। কেন্দ্র সেই টাকাও দেয়নি। ভাঙন রোধের জন্য আমরা সাধ্যমতো টাকা দিচ্ছি। কিন্তু সেই টাকা জলে চলে যাচ্ছে। পুরনো টেকনোলজিতে কাজ হচ্ছে না। নতুন প্রযুক্তি দরকার। এজন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে রাখতে হবে। অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে। দিঘায় নতুন প্রযুক্তিতে কাজ হয়েছে। পাড় ভেঙে পড়ছে না। সেই টেকনোলজি দরকার। এবছর ৫০ কোটি দিলাম। পরের বছর আবার ৫০ কোটি দেব। টেন্ডারের সময় বলে দিতে হবে, কাজটি করার পর ২০ বছর দেখভাল করতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর