এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতার বাংলায় এবার আত্মনির্ভর পঞ্চায়েত, নজরে আর্থিক স্বনির্ভরতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার শুধু বাংলার(Bengal) হকের টাকা আটকে বাংলাকে ভাতে মারার ষড়যন্ত্রই করছে তাই নয়, কার্যত কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্কটাই নষ্ট করে দিচ্ছে। কার্যত তাঁদের লক্ষ্যই হল দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা(Federal Structure) ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে একদলীয়, এককেন্দ্রীক, একনায়কতন্ত্রের ব্যবস্থা গড়ে তোলার। তাই বাংলায় ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারও পাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে আর কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকা হবে না। বিশেষ করে গ্রামবাংলার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকেই(Gram Panchayat) এবার আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতার(Financially Self Dependent) পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই আগামী পাঁচ বছর জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব আয় বাড়াতে নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে নবান্ন। তবে তার জন্য কোনও ভাবেই প্রান্তিক মানুষের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হবে না।

আরও পড়ুন ৬ বছরে খরচ ৯০০০ কোটি, পরিষেবায় উপকৃত ৬০ লক্ষ, রেকর্ড মমতার স্বাস্থ্যসাথীর

চলতি মাসের মধ্যে রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নতুন বোর্ড গঠন সম্পন্ন হতে চলেছে। তারপরই ৩টি স্তরের সব জনপ্রতিনিধিকে স্পষ্টভাবে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনকে। শুধু তাই নয়, কীভাবে বোর্ডগুলি নিজস্ব আয় বা Own Source Revenue বাড়াতে পারে, সে বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে রাজ্য। আর সেই প্রশিক্ষণ দেবে কলকাতার উপকন্ঠে জোকায় থাকা Indian Institute of Management বা IIM Joka। নবান্ন থেকে কার্যত জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, রাজ্যের ৩টি স্তরের অধীনে থাকা দোকান, বাজার, ঘাট, গুদামঘর ইত্যাদির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ক্ষেত্রেই বকেয়া ফেলে রাখা যাবে না। পুরসভাগুলির মতো পঞ্চায়েত এলাকাতেও Online Trade License এবং Building Plan অনুমোদনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন শাড়ির আঁচলেও হাজির বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা

নবান্ন সূত্রে খবর, রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে Online Service’র ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে। আগামী দিনে ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ পঞ্চায়েতের আয় বৃদ্ধির নতুন দিশা দেখাবে। আগামী পাঁচ বছরে পঞ্চায়েতগুলির নিজস্ব আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম রাজ্য হিসেবে উঠে আসার টার্গেটও রয়েছে রাজ্যের। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র না দেওয়ায় বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা কম পাচ্ছে বাংলা। আটকে রয়েছে আবাস যোজনার ৮ হাজার কোটি টাকাও। অর্থাৎ, বর্তমানে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বলতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, স্বচ্ছতা মিশন, গ্রামীণ সড়ক, সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স এবং গ্রামীণ জীবন জীবিকা মিশনের মতো প্রকল্পগুলির টাকা। এসব খাতে বরাদ্দ অর্থ পশ্চিমবঙ্গের মতো জনবহুল রাজ্যের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতগুলিকে নিজস্ব আয় বৃদ্ধির নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ার বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের বাড়ির সামনে আদিবাসীদের বিক্ষোভ

অনেক ভিডিও প্রকাশ পাবে, ভোট হোক, অনেকে ধরা পরবে : শেখ শাহজাহান

সোমবার পর্যন্ত বঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা

শিলিগুড়িতে অক্ষয় তৃতীয়ার সকালে প্লাস্টিকের মধ্যে থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত কন্যা সন্তান

মুকুট-মতুয়ায় ভর দিয়ে পরিযায়ীদের সঙ্গে নিয়ে রানাঘাট পুনরুদ্ধারের আশায় তৃণমূল

বারুইপুরে মাদকের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে আক্রান্ত ১৫ জন পুলিশ কর্মী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর