নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামিকাল রবিবার মহালয়ার (Mahalaya) সন্ধ্যাতেই চেতলা অগ্রণী (Chetla Agroni) থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ২৩০টি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ ওই উদ্বোধন হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় (CMO) থেকে বিশেষ নির্দেশ পাঠিয়ে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। উদ্বোধনের সময় যাতে পুজো উদ্যোক্তা, জনপ্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছরই কলকাতার নামী-দামী পুজোর উদ্বোধনে ব্যস্ত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। জেলার পুজো উদ্যোক্তাদের মনে যাতে কোনও আক্ষেপ না থাকে তার জন্য কয়েক বছর আগে কলকাতা থেকেই জেলার পুজোগুলির ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর তাঁর সেই সিদ্ধান্ত জেলার পুজো উদ্যোক্তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে (Chief Minister) দিয়ে কারা পুজো উদ্বোধন করাতে আগ্রহী তাদের তালিকা জেলা প্রশাসনকে পাঠাতে বলা হয়েছিল। গত শুক্রবার সেই তালিকা নবান্নে এসে পৌঁছেছে। ওই তালিকা থেকে ঝাড়াই-বাছাই করেই ২৩০টি পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় দেবীপক্ষের সূচনাতেই ভার্চুয়ালি উদ্বোধন সেরে ফেলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেননা সোমবার থেকে কলকাতায় পুজো উদ্বোধনে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তিনি। গত বৃহস্পতিবারই অবশ্য শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব (Shreebhumi Sporting Club), সল্টলেক এফ ডি ব্লক (Salt Lake F D Block) ও টালা প্রত্যয়ের (Tala Pratay) পুজোর উদ্বোধন সেরে ফেলেছিলেন।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) পুজো বলে পরিচিত চেতলা অগ্রণীতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে মাতৃপ্রতিমায় চক্ষুদান করবেন। তার পরে জেলার পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন। সোমবার থেকে কলকাতার একাধিক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন। চতুর্থ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে উদ্বোধনী কর্মসূচি।