নিজস্ব প্রতিবেদক: এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর খুনী সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হল এক যুবককে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর থানা এলাকার চিতলডাঙ্গা গ্রামের গোয়ালা পাড়ায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর থানার চিতলডাঙ্গা গ্রামের গোয়ালা পাড়ায় নিজের বাড়িতেই ৩৫ বছর বয়সী মনোজ পাত্র নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। যা ঘিরে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। এদিন তাঁর বাড়ির একতলার ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ওই ব্যক্তির গলায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়রা সামডি গ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জন পাল নামে এক যুবককে গণপিটুনি দেয়। সে মনোজকে খুন করেছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুক্রবার সকালে মনোজ পাত্রর মৃতদেহটি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সালানপুর থানার ও রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
মৃত মনোজের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মনোজ পাত্র নিজের বাড়িতে ছিলেন। ওইদিন রাতে বাড়ির ছাদে শুয়েছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ তাঁর আর্ত চিৎকার শুনতে পরিবারের লোকজন। এরপর তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ছাদে গিয়ে দেখা যায় ভহয়ঙ্কর দৃশ্য। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মনোজ পাত্র। গলায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান বাড়ির লোকজন। দ্রুত তাঁকে ছাদ থেকে তুলে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান তিনি মৃত। মৃত মনোজ পাত্রর স্ত্রী মুনমুন পাত্র জানান, সামডির নিরঞ্জন পাল ও কাঞ্চন পাল নামক দুই ব্যাক্তির কাছে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন মনোজ। আগেরদিন তাদের সঙ্গে ঝামেলাও হয়। মুনমুন পাত্রের অভিযোগ, তারাই তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। ইতিমধ্যে নিরঞ্জন পালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।