নিজস্ব প্রতিনিধি: রেলগেট চাই। আর সেই দাবি জানিয়ে সাত সকালেই ট্রেন অবরোধের ঘটনা ঘটল নদিয়া(Nadia) জেলার সদর মহকুমার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের তারকনগর(Taraknagar) স্টেশনে। পূর্ব রেলের শিয়ালদা নর্থ ডিভিশনের রানাঘাট(Ranaghat) গেদে শাখার এই স্টেশনে এদিন অবরোধ করেন মতুয়া(Matuya) সম্প্রদায়ের লোকেরা যারা চট করে কোনও অবরোধ করেন না বা ওই ধরনের কোনও ঘটনায় জড়িত থাকেন না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই রেল অবরোধ কী শুধুমাত্র রেলগেট চেয়েই করা হয়েছিল নাকি ঘুরপথে এবার মতুয়াদেরও রাজনৈতিক ভাবে অবরোধমুখী আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেওয়া হল।
ঠিক কী হয়েছে এদিন? জানা গিয়েছে, তারকনগর হল্ট স্টেশনে কোনও রেলগেট ছিল না। ফলে দুর্ঘটনা এড়তে স্থানীয়রাই বাঁশ দিয়ে রেল গেটের ব্যবস্থা করেছিল। এলাকাবাসীরাই সেটি নিয়ন্ত্রণ করতেন। অভিযোগ, গত ২৫ মে রেলের তরফে রেলগেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘিরে দেওয়া হয় এলাকা। ফলে ওই জায়গা থেকে আর গাড়ি চলাচল তো দূর, পায়ে হেঁটেও লাইন পেরনো যাচ্ছে না। ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৭টায় তারকনগর হল্ট স্টেশনে অবরোধ(Train Blocked) করে মতুয়া মহাসংঘের শিবনিবাস অঞ্চল কমিটি। অবরোধকারীদের দাবি, অবিলম্বে রেল গেট তৈরি করে দিতে হবে রেলকে। বিক্ষোভকারীরা সাফ জানান, তাঁদের দাবি না মানা হলে কোনওভাবেই বিক্ষোভ তোলা হবে না। এই অবরোধের দরুন রানাঘাট গেদে শাখায় ট্রেন চলাচল বেশ কয়েক ঘন্টার জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। গেদে(Gede) থেকে শিয়ালদামুখী দুটি লোকাল ট্রেন আটকে পড়ার পাশাপাশি রানাঘাট থেকে গেদেগামী ২টি ট্রেনও আটকে পড়ে। এমনকি আটকে যায় কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসও।
প্রায় তিনঘণ্টা ধরে সেই অবরোধ চলার পরে রেলের তরফে ওই রেলগেট ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি ঘিরে দেওয়া স্থান ফের খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তার পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও অফিস টাইমে এই বিক্ষোভের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে অফিসযাত্রীদের। কেই কেউ ফের বাড়ি ফিরে যেতেও কার্যত বাধ্য হন। কেউ কেউ আবার অন্যপথে পৌঁছেছেন গন্তব্যে।