এই মুহূর্তে




পরীক্ষার হলে হার্ট অ্যাটাক মেডিক্যাল পড়ুয়ার, ইনভিজিলেটরের বুদ্ধিতে বাঁচল প্রাণ

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরীক্ষা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হন এক মেডিকেল পড়ুয়া। সৃষ্টি হয় যখন তখন অবস্থার। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, রাখে হরি মারে কে। পরীক্ষা হলে উপস্থিত ইনভিজিলেটরের উপস্থিত বুদ্ধিতে রক্ষা পেলেন ওই মেডিক্যাল পড়ুয়া। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এমবিবিএস পড়ুয়াদের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছে । মঙ্গলবার ছিল ফিজিওলজির পরীক্ষা। মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের ছয় তলায় করা হয়েছে পরীক্ষার আয়োজন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে শুরু হয় ফিজিওলজি থিওরি পরীক্ষা। ইনভিজিলেশনের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক রহিন মাহাতো, সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় এবং মুস্তাকিন রহমান। এগারোটার দিকে পরীক্ষা শুরু হয়ে মোটামুটি ১৫ মিনিট কাটে নির্বিঘ্নে। হঠাৎ ১১:১৫ নাগাদ মনোরঞ্জন মুদি নামে এক পরীক্ষার্থী বুকে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন। তাঁর ঘাম হতে শুরু করে, তিনি পড়ে যান। পরীক্ষার্থীর এই অবস্থা দেখে দ্রুত ছুটে আসেন চিকিৎসক রহিন মাহাতো । নিজের অভিজ্ঞ দৃষ্টি দিয়ে বোঝেন ওই পড়ুয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

সঙ্গে সঙ্গে মনোরঞ্জনকে মাটিতে শুইয়ে পা দুটি উপরের দিকে তুলে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর কাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অন্যান্য চিকিৎসকরা। কিন্তু পরীক্ষা হলে তো বেশি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজন ছিল হাসপাতালের। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি রোগীকে সোজা তুলে নিয়ে রহিন মাহাতো হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের উল্টো দিকেই হাসপাতাল।

অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে একটি টোটোই উঠে সরাসরি হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে মনোরঞ্জনকে পৌঁছে দেন তিনি। সেখানেই পড়ুয়াকে প্রথমে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে জানান যে তাঁর একবার নয়, তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত থ্রম্বোলাইসিসের প্রয়োজন। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন মেদিনীপুর কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী।

মনোরঞ্জন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তার অবস্থান স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে দ্রুত মনোরঞ্জনের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম। চিকিৎসকরা মনে করছেন এবার তাঁর প্রয়োজন অ্যাঞ্জিওগ্রাফি ও অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি। সেই জন্য মেদিনীপুর মেডিক্লযা কলেজে না রেখে মনোরঞ্জনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।

ডাক্তারি পড়ুয়ার প্রাণ বেঁচেছে যে চিকিৎসকের জন্য সেই রহিন মাহাতো কিন্তু কোনও কৃতিত্ব নিতে রাজি নন। তিনি জানিয়েছেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে তাঁর যা যা করণীয় ছিল তিনি সেটাই করেছেন। তবে অন্যান্য চিকিৎসকরা এখন তাঁর প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ। না হলে ঘটে যেতে পারত বড়সড় অঘটন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোটারদের মতামত জানতে নিজের বিধানসভায় জনবাক্স বসালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

সুকান্ত মজুমদারকে ‘কান কাটা খলিল’বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি

বাংলার মনীষীদের কলুষিত করতে চাইছে বিজেপি, কটাক্ষ শশী পাঁজার

SIR আবহে তপ্ত ঠাকুর বাড়ি, একদিকে আমরণ অনশন অপরদিকে CAA তে আবেদনের পাল্টা প্রচার ক্যাম্প

২২ জন দরিদ্র যুবক-যুবতীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করল গণবিবাহের ছাদনাতলা

সামনেই বার্ষিক পরীক্ষা, স্কুলের সব শিক্ষকই ব্যস্ত SIR-র কাজে, চিন্তায় অভিভাবকরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ