এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হাই মাদ্রাসায় প্রথম শারিফার বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা নিয়ে গেলেন সাবিনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাই মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী শারিফা খাতুনের বাড়ি গেলেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মঙ্গলবার রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী এদিন শারিফার বাড়িতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন। পাশাপাশি তার উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্য সরকার সবরকমের সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।

সোমবার রাজ্যের হাই মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। নজর কেড়ে এ বছর হাই মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে মালদহ জেলার রতুয়া থানা এলাকার ভাদোর শারিফা খাতুন। ছোট থেকেই দারিদ্রকে সঙ্গী করে প্রতিকুলতার সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে আসছে শারিফা। শারিফার বাবা উজির হোসেন পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে আসছেন তিনি। রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় চোখে আনন্দাশ্রু বাবা উজির হোসেনেরও।

এদিন সাবিনা ইয়াসমিন একটি অভিধান-সহ বেশকিছু উপহার সামগ্রী নিয়ে যান শারিফা খাতুনের বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন রতুয়া বিধানসভার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়,তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি সহ জেলা নেতৃত্ব। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শারিফা খাতুনের আর্থিক প্রতিকূলতা রয়েছে। যে প্রতিকূলতাকে জয় করে মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়ে নজির গড়েছে শারিফা। তাঁর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সব রকমের সাহায্য করবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী  সাবিনা ইয়াসমিন। অন্যদিকের মুখ্যমন্ত্রীর এমন সাহায্যের আশ্বাস পেয়ে খুশি শারিফা  ও তার পরিবার। শারিফার বাবা উজির হোসেন চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, ‘মেয়ের সাফল্যের পর গতকাল সারারাত ঘুম হয়নি। মেয়েটিকে কি করে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াবো। চিকিৎসক হবে এমনই স্বপ্ন মেয়ের।’ মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তায় স্বস্তি পেয়েছেন উজির হোসেন।

মালদহ রতুয়া থানার বটতলা আর্দশ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী শারিফা খাতুন পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সে কোনও টিউশনি নেয়নি। করোনার ফলে স্কুলও বন্ধ ছিল। ফলে বাড়িতেই পঠন পাঠন করেছিল। দিনে ৯ ঘন্টা পড়াশোনা করত  এই মেধাবী পড়ুয়া। নিজের অদম্য ইচ্ছেশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমকে সঙ্গী করে অবশেষে পেল সাফল্য। মোট ৮০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৮৬। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় শারিফা খাতুন।

অন্যদিকে ২০২২ সালের মাদ্রাসা পরীক্ষার ফলাফল(High Madrasaha Result 2022) প্রকাশের পর দেখা যায় এ বছর হাই মাদ্রাসায় পাশের হার ৮৭.০২ শতাংশ। আলিমে ৮৯.৬৭ এবং ফাজিলে ৯০.০৩ শতাংশ। ২০২২ সালের হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম ১০টি স্থানে জায়গা পেয়েছে ১৫ জন। তার মধ্যে ১০ জন পড়ুয়াই মালদহ জেলার। তালিকা অনুযায়ী, ৭৮৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম স্থানাধিকারী হয়েছে শারিফা খাতুন। দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে ওই মাদ্রাসারই ইমরানা আফরোজ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মহম্মদ ওয়াকিল আনসারি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৩। সম্ভাব্য চতুর্থ হয়েছে রওনক জাহান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭১। ওয়াকিল আনসারি এবং রওনক জাহান গাজোলের রামনগর হাই মাদ্রাসার পড়ুয়া।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর