নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই বছর ধরে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের(100 Days Work Project) টাকা আটকে রেখেছে। এই খাতে বাংলার(Bengal) বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র মজুরি(Wages) বাবদ প্রাপ্যের পরিমাণ ৩৭৩২ কোটি টাকা। রাজ্যের তরফে একাধিকবার এই টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রকে। হয়েছে সচিব পর্যায়ের বৈঠকও। কিন্তু টাকা আসেনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) নিজে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন ও তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি। শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারই বাংলার প্রায় ২৫ লক্ষ Job Card Holders-দের বকেয়া টাকা দিয়ে দেবে। সেই মতো ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটে ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। আর এই ঘোষণা ও পদক্ষেপ বাংলাজুড়ে তো বটেই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে রীতিমত মুলহ পোড়াচ্ছে মোদির। শেষে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে বাধ্য হয়েছে মোদি সরকার। এদিন অর্থাৎ বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বসছে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠক যেখানে এই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বকেয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দিল্লিতেই কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের মধ্যে কেন্দ্রের থেকে বাংলার বকেয়া নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিনের বৈঠকেও যে সমস্যার সুরাহা হবে এমন একটা আশা করছেন না নবান্নের আধিকারিকেরা। কেননা নানা মাধ্যমে ও ঘটনায় এটা সকলের কাছেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধীতা এবং বাংলা বিদ্বেষের কারণেই বাংলার যাবতীয় বকেয়া আটকে রাখা হয়েছে এবং বাংলার জন্য যাবতীয় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। ২৪’র ভোটের আগে যে এই আটকে থাকা টাকা ছাড়া হবে না, সেটাও মোটামুটি পরিষ্কার। তবে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে এই লোক দেখানো নাটকের জন্য এখন প্রতি মাসেই এই ধরনের বৈঠক ডাকবে ও করবেন কেন্দ্রের আধিকারিকেরা। যদিও বৈঠক শেষে সেই প্রাপ্তির ঝুলি শূন্যই থাকবে। আর তাই এদিনের বৈঠক নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নয় নবান্ন। এমনকি আশাবাদী নয় তৃণমূল নেতৃত্বও। তবে বাংলার প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ, আশাবাদী আগামী ১ মার্চের মধ্যে তাঁরা তাঁদের কাজের বকেয়া মজুরি পেয়ে যাবেন। কেননা সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।