নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাতে মারার কতই না প্রচেষ্টা। এবার নজর পড়েছে বাংলার(Bengal) স্বনির্ভর গোষ্ঠীর(Selfhelp Group) মহিলাদের ওপর। তাঁদের আর্থিক লেনদেনের ওপর। সেখানেও বোধহয় লুকিয়ে আছে গরু পাচারের টাকা, কয়লা পাচারের টাকা, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। তাই বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আর্থিক লেনদেনের ওপর কড়া নজরদারি চালাতে নয়া Apps নিয়ে আসছে মোদি সরকার(Modi Government)। আগামী এপ্রিল; মাস থেকেই তা লাগু হয়ে যাবে বাংলায়। সেই অ্যাপের নাম রাখা হয়েছে ‘Lokos’। আপাতত এই অ্যাপ পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন জেলায় চলছে। তাতে কীভাবে তথ্য আপলোড করতে হবে, তার প্রশিক্ষণ শুরু হবে শীঘ্রই। তবে সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে এবার এই Apps-এ রাজ্য সরকারের জন্যও জায়গা রাখছে কেন্দ্র। রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়ই এই অ্যাপে ঢুকে লগ-ইন করে সব লেনদেনের হিসেব দেখতে পারবে।
আরও পড়ুন CPIM দেখেনি, বাম পঞ্চায়েত সদস্যের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন TMC বিধায়ক
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এই অ্যাপে প্রত্যেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তথ্যের পাশাপাশি সদস্যদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সহ বিভিন্ন ডেটা দিতে হবে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলার আধার নম্বর আবশ্যিক। বিভিন্ন খাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যে টাকা দেওয়া হয়, তা ঠিক মতো খরচ হচ্ছে কি না, তাই মূলত দেখা হবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। কোন গোষ্ঠীর অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে, সদস্যদের কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সবই থাকবে তাতে। এতদিন হিসেবপত্র কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ হতো। এবার তা হবে না। অ্যাপে তথ্য আপলোড হলে রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা তা যাচাই করতে পারবেন। লেনদেনে স্বচ্ছতা রাখতেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বৈঠকে যা আলোচনা হয়, তার সারমর্মও এই অ্যাপে জানাতে হবে। প্রতিটি লেনদেনই দিনের দিন তুলতে হবে মহিলাদের।
আরও পড়ুন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ডিন্ডাও কী এবার তৃণমূলের পথে, ছড়ালো জল্পনা
আধিকারিকদের মতে, স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে তাঁরা কী কাজ করছেন, কত টাকা খরচ হল সবই হিসেবই উঠে আসবে ওই তথ্যভাণ্ডারে। সময়ে কতজন ঋণ পরিশোধ করছেন, কতজনের বকেয়া রয়েছে, তাও জানা যাবে এক ক্লিকে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে রিভলভিং ফান্ড, সিআইএফ ফান্ড ইত্যাদি খাতে যে টাকা দেওয়া হয়, তা কতজনের মধ্যে কত করে ভাগ করা হয়, তারও চিত্র পাওয়া যাবে ওই অ্যাপে। অতীতে দেখা গিয়েছে, লেনদেন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সঠিকভাবে হিসেবপত্র না থাকায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। এবার আর সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে না। সবটাই নজরদারিতে থাকবে। যদিও এত কথার পিছনে রাজনীতির আসল উদ্দেশ্যটা ঢাকা যাচ্ছে না কিছুতেই। তবে নবান্ন চিন্তিত নয়। তাঁদের দাবি, যা খুশি করুক। বাংলায় সব কিছু স্বচ্ছতার সঙ্গেই হয়।