এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর খরচের হিসাব দিন, মমতাকে কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি: স্পর্ধার সীমা ক্রমশ অতিক্রম করছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকার(Modi Government)। নির্বাচিত রাজ্য সরকারগুলির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা নতুন কোনও অভিযোগ নয়। বিভিন্ন সময় কোনও না কোনও ছুতোয় দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করতে তারা সিদ্ধহস্ত বলেও দাবি তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) সহ বিরোধীদের। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রের আরও এক সিদ্ধান্ত ঘিরে একই অভিযোগ জোরালো হচ্ছে। কী সেই বিষয়? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার(Lakhir Bhandar), কন্যাশ্রী(Kanyasree), রূপশ্রী, মেধাশ্রী সহ রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালাতে এক টাকাও দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যই প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ খরচ বহন করে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, এসব প্রকল্প খাতে রাজ্য কত টাকা খরচ করছে, তার হিসেবও তুলে দিতে হবে নির্দিষ্ট পোর্টালে। অর্থাৎ, রাজ্যের সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রকল্পের ওপরেও এবার সরাসরি নজরদারি চালাবে নয়াদিল্লি। আর তার জেরেই কেন্দ্রের ওপর চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

আরও পড়ুন Hongkong Flu নিয়ে কেন্দ্রের কড়া সতর্কতা দেশজুড়ে

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হোক কী কন্যাশ্রী, রূপশ্রী হোক কী মেধাশ্রী, এই ধরনের প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠায় রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক পরিভাষায় একে বলা হয় Direct Benefit Transfar বা DBT। এই সব প্রকল্প রাজ্য সরকার তার নিজস্ব আয়ের ওপর দাঁড়িয়ে চালাচ্ছে। সেখানে কেন্দ্রের দেওয়া ১ পয়সাও নেই। এই সব প্রকল্পকে এইজন্য State Aided Project বা SAP বলা হয়। আবার এর পাশাপাশি রাজ্যে চালু র‍য়েছে এমন বেশ কিছু প্রকল্প যেগুলির পিছনে কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তাও রয়েছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলিকে বলা হয় Central Sponcered Scheme বা CSS। এইসব প্রকল্পের হিসাব কেন্দ্র রাজ্য সরকারের কাছে চাইতেই পারে এবং রাজ্যও তা দিতে বাধ্য। কিন্তু যে সব সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একক উদ্যোগে চালু করেছে, যার খরচ জোগানো হচ্ছে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে, সেই সব প্রকল্পের হিসাব কেন্দ্রকে কেন দেবে রাজ্য সরকার?

আরও পড়ুন আলাপন মামলা সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে, ধাক্কা কেন্দ্রের

এতদিন কেবল CSS প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হিসেব জমা পড়ত কেন্দ্রের কাছে। সেই হিসেবের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জন্য পরবর্তী কিস্তির টাকা অনুমোদন করে কেন্দ্র। কিন্তু যে প্রকল্পে কেন্দ্রের কোনও আর্থিক অংশিদারিত্ব নেই, তার হিসেব চাওয়া সরসারি রাজ্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কেন্দ্র জানিয়েছে, যেসব প্রকল্পে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়, তার যাবতীয় হিসেব ‘DBT Bharat’ নামক একটি পোর্টালে তুলে দিতে হবে রাজ্যকে। এই পোর্টালে পৃথকভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির খরচের হিসেবও নথিভুক্ত করতে হবে। কেন্দ্রের যুক্তি, এর ফলে প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্যের ওপর ঋণের বোঝা কতটা বাড়ছে বা বাড়তে পারে, তার একটা স্পষ্ট হিসেব পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরপ্রদেশে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দিয়ে ভোট কেনার সংস্কৃতি আনার চেষ্টা হচ্ছে দেশে, যা বিপজ্জনক। প্রধানমন্ত্রী কথিত ওই ‘রেওড়ি সংস্কৃতি’ নিয়ে সেই সময় যথেষ্ট জলঘোলা হয়। তাঁর সেই উক্তি উল্লেখ করে ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি এবার বিভিন্ন রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির ওপরেও খাঁড়া নামাতে চাইছে কেন্দ্র? সেদিনই কি মোদি এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন?

আরও পড়ুন পাড়ুইয়ে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা

এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এটি রাজ্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের আরও একটি নমুনা মাত্র। তবে আমরা রাজ্যের মানুষের সামাজিক সুরক্ষা যেভাবে নিশ্চিত করেছি, তা থেকে কেন্দ্রের শিক্ষা নেওয়া উচিত। নবান্ন সূত্রে খবর, সমস্ত রাজ্যকেই এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। অনেক রাজ্য তা মেনে নিলেও নবান্নের শীর্ষমহল এতদিন এতে সায় দেয়নি। তবে বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্য এক লক্ষ কোটি টাকা না পাওয়া, সঙ্কটের মধ্যেও সবক’টি জনমুখী প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া সহ একাধিক কারণে রাজ্যের উপর আর্থিক চাপ রয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রের হাতে নতুন করে কোনও ‘অস্ত্র’ তুলে দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। তাই কার্যত বাধ্য হয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সম্মত হতে হচ্ছে রাজ্যকে। তাই ডিবিটি সংক্রান্ত একটি পোর্টাল তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তথ্য যাবে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট পোর্টালে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মালদায় দেবের হেলিকপ্টারে আগুন

চাকরি বাতিলের জেরে একাধিক  স্কুলে বন্ধের মুখে বিজ্ঞান বিভাগ

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

হাওড়ায় পঞ্চায়েত অফিসে গুলি চালানোর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের

‘খেলা হবে’, বাঁকুড়ায় নির্দল হিসাবে মনোনয়ন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতার

দীর্ঘদিন নেতাদের দেহরক্ষী থাকতে পারবে না পুলিশকর্মী, নয়া নিয়ম আনছে নবান্ন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর