নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে বাংলার(Bengal) ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে(100 Days Work Project) টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। বকেয়া সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। দেওয়া হয়নি ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের টাকাও। এবার হাজির হয়েছে নয়া ফরমান। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে Drone দিয়ে নজরদারি চালাতে হবে। কোন পদ্ধতিতে তা করতে হবে সেটাও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর এই ফরমান নিয়েই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের একাধিক দফতরে উঠেছে প্রশ্ন। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘মানুষ কাজ পেলে তো মাঠে যাবে। আর কাজে গেলে তবে তো নজরদারির প্রয়োজন পড়বে। একদিকে ১০০ দিনের কাজে সার্বিকভাবে বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।’
আরও পড়ুন মাইনে ২০ হাজার টাকা, ৫৪৬৮টি পদে লোক নেবে রাজ্য সরকার
দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে নিত্যনতুন ফরমান জারিতে কোনও খামতি নেই! এবার তাদের নতুন সংযোজন, ড্রোন উড়িয়ে প্রকল্পের কাজে নজরদারি। টাকা না দেওয়ায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকলেও ড্রোন দিয়ে কীভাবে নজরদারি চালাতে হবে, তার নির্দিষ্ট পদ্ধতিও ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অ্যাপের মাধ্যমে ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের হাজিরার নিয়ম আগেই চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল অডিট, ন্যায়পাল, অভ্যন্তরীণ অডিট, কমন রিভিউ মিশন, নাশন্যাল লেভেল মনিটর্স ইত্যাদি একাধিক উপায়ে কাজের ওপর নজরদারি চালায় কেন্দ্র। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ড্রোন।
আরও পড়ুন মমতার Marine Drive-ই এখন Guard Wall গ্রামের
কেন্দ্রের ফরমানে বলা হয়েছে, ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি এবং এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি পরিকাঠামোর গুণগতমান যাচাইয়ের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। কাজের আগে এবং কাজের বিভিন্ন স্তরে ড্রোনের মাধ্যমে জিও-রেফারেন্স থাকা ছবি এবং ভিডিও তুলে রাখা হবে। প্রতি জেলায় নিযুক্ত ন্যায়পাল ড্রোন ব্যবহারের দায়িত্বে থাকবেন। ড্রোনের সাহায্যে পাওয়া ছবি বা ভিডিও তুলে দিতে হবে এনআরইজিএ সফ্ট পোর্টালে। বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও আধিকারিক না পাঠিয়েও পরিদর্শন সেরে ফেলা যাবে। এক আধিকারিকের প্রশ্ন, এর আগে রাজ্যে পরিদর্শনে এসে কিছুই পায়নি কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল। উল্টে অনেক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এবার কি তাহলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ এড়াতেই এই ব্যবস্থা!