এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

উত্তরে বন্যা, দক্ষিণে খরা, ভেলকি দেখাচ্ছে বর্ষা

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকৃতির কাছে মানুষ অসহায় তা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বছর বছর চরিত্র বদলে বর্ষাও(Monsoon) যে ভেলকি দেখাতে পারে সেটা কয়বার কে দেখেছে। যদি দেখে না থাকেন তো চলতি মরশুমে বাংলার বুকে চোখ রাখুন তাহলেই দেখতে পাবেন একই রাজ্যের দুই প্রান্তে বর্ষার দুই ভিন্ন চরিত্র। উত্তরবঙ্গের(North Bengal) বুকে চলছে প্রবল বর্ষণ(Rain)। আর সেই বৃষ্টির জেরে সেখানে একের পর এক নদী ফুলে ফেঁপে দুই কূল ভাসানোর উপক্রম করেছে। আর দক্ষিণবঙ্গে(South Bengal) মানুষজন চাতকপাখির মতো চেয়ে আছেন আকাশ পানে যদি দুই এক ফোঁটা বৃষ্টি ঝরে। বাংলার বুকে এতটা বৈপরীত্য সাম্প্রতিককালে শেষ কবে দেখা গিয়েছিল সেটা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। কিন্তু সবাই একটা কথা মানছেন যে বর্ষার এরকম ভেলকি তাঁরা কেউ সাম্প্রতিক কালে খুব একটা বিশেষ দেখেনি।

উত্তরবঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে তরাই-ডুয়ার্স এলাকায় এবং সিকিম ও ভূটানের পাহাড়ে। আর তার জেরে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, রায়ডাক, কালজেনি নদীতে জলস্ফীতি ঘটেছে। এর জেরে বুধ রাত থেকেই তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দফতর। বৃহস্পতিবার জলঢাকা নদীতেও হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এদিনও ওই দুই নদীর ক্ষেত্রে হলুদ সংকেত জারি বহাল রাখা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে তিস্তা সেচ প্রকল্পর  গজল ডোবা থেকে নতুন করে ২২৩৭.৫০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। আর তাতে তিস্তার জল আরও বেড়েছে। ফলে তিস্তা নদীর দুইপাশের এলাকা ও তিস্তার চরের বান্সিদাদের মধ্যে কিছুতা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে ৫৬.৬০ মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে ১২৮.৪০ মিমি, কোচবিহারে ৪৪.৬০ মিমি, শিলিগুড়িতে ২০.৬০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা এতাও জানিয়েছে আগামী রবিবার পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দিনাজপুর ও মালদায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারও উত্তরবঙ্গের বুকে বন্যার(Flood) আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। জেলা প্রশাসনগুলিকে নবান্ন থেকেই ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ত্রিপল, শুকনো খাবার ইত্যাদি সব মজুদ রাখতে বলা হয়েছে।

এর ঠিক উল্টো ছবি দক্ষিণবঙ্গের বুকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টি এখনই নামার কোনও সম্ভাবনা নেই। বস্তুত দেশের আবহাওয়াবিদরা কিন্তু ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম বৃষ্টি হবে। সেপ্টেম্বরে তুলনায় বেশি বৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে হয়তো দেখা যেতে পারে খুব কম সময়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আর তার নিট রেজাল্ট পুজোর মুখে বানভাসি দক্ষিণবঙ্গ। বিশেষ করে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি ও দুই মেদিনীপুর। তারপরেই চলতি বর্ষার মরশুমে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি থেকে যাবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। যার জেরে সামনের শীতের মরশুমে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় জলের সংকট দেখা দিতে পারে বলেও তাঁরা সতর্ক করে দিয়েছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফারাক্কা সেতুতে উত্তরবঙ্গগামী ট্রাকে আগুন, বন্ধ যান চলাচল

বালি  ব্রিজ থেকে গঙ্গায়  ঝাঁপ যুবকের, শুরু তল্লাশি

কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আরও বাড়বে গরম, জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা

ভগবানগোলাতে অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে জখম একাধিক শিশুসহ ১৩ জন

বসিরহাট আদালতে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশার’ চোখে জল

নির্বাচনের আগে ভাটপাড়ায় বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর