নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন মুকুল রায়। সেখানে তিনি তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিতেও যান ও প্রথমবারের জন্য রাজ্যের বিধায়ক হন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁকেই তৃণমূলের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। এর জেরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছেও আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত বছর পুজোর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল বিধানসভায় শুনানি। সেই শুনানি শেষ হয়েছিল গত মাসেই। শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, মুকুল আছেন বিজেপিতেই। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না।
এদিন বিমানবাবু জানিয়েছেন, ‘মুকুল রায় আছেন বিজেপিতেই। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না। পিটিশনের পক্ষে যথেষ্ট পরিমাণে প্রমাণ জমা দিতে পারেননি আইনজীবীরা। তাই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে জমা পড়া পিটিশন খারিজ করা হচ্ছে।’ অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘অধ্যক্ষের রায়ই চূড়ান্ত। ভাল লাগুক মন্দ লাগুক, সবাই সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিন।’ যদিও গেরুয়া শিবির এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয়। শুভেন্দু শিবিরের তরফে জানা গিয়েছে, তাঁরা এখন গোটা ইস্যুটি সুপ্রিম কোর্টকে জানাবেন ও সেখানেই আইনি লড়াই লড়বেন। তাঁদের দাবি, অধ্যক্ষকে এই মামলায় ৬৪ পাতার পিটিশন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে মুকুলের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। তার পরেও যদি অধ্যক্ষ বলেন মুকুল বিজেপিতেই আছেন তাহলে সেই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। তবে আদালতে এই সব প্রমাণ তুলে ধরেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের জন্যও সাওয়াল করা হবে।