নিজস্ব প্রতিনিধি : মালদহের কৃষ্ণপল্লীতে রেললাইনের ধারে পড়ে থাকতে দেখা গেল মা ও শিশুর মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। কী কারণে এই দুজনের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পারিবারিক বিবাদের কারণে এদের মৃত্যু হয়েছে, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তার নাম চুমকি গুপ্ত হালদার। তাঁর স্বামীর নাম সুব্রত হালদার। সুব্রতবাবু পেশায় একজন শিক্ষক। সুব্রতবাবু মালদহের নিউ বাঁশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে মৃতদেহ দুটিকে পড়ে থাকতে দেখে। এরপর তাঁরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা গিয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা মৃতার স্বামী ও আত্মীয় সজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্যও অপেক্ষা করছে তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন তদন্তকারীরা।