নিজস্ব প্রতিনিধি: দায়িত্বগ্রহণের আগেই তিনি জানিয়েছিলেন বাংলার(Bengal) উন্নয়নের স্বার্থে তিনি কাজ করে যাবেন। সেই কথা রেখেই শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি সংশোধন বিলে(West Bengal SC and ST Correction Bill) সই করে দিলেন তিনি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই বিল রাজ্য বিধানসভায়(State Assembly) পাশ হয়েছিল। কিন্তু তা রাজভবনে পাঠানো হলেও পড়েছিল বিলটি। লা গণেশন বাংলার অস্থায়ী রাজ্যপাল(Governor) হিসাবে বেশ কিছু বিলে স্বাক্ষর করে গিয়েছেন। তবে এই বিলে তিনি সই করেননি। সেখানে বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose) এসেই এই বিলে সই করে দিলেন। এটাই নয়া রাজ্যপালের প্রথম সই করা বিল। সেই বিলে সই করেই তিনি কার্যত কথা রাখলেন যে, উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেই তিনি কাজ করবেন।
আরও পড়ুন আর নয় রাম-বাম জোট, কড়া বার্তা আলিমুদ্দিনের
নবান্ন(Nabanna) ও রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে চলে এসেছিল রাজভবনে। লা গণেশনকে তা দেখানোও হয়েছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন না তাই এই বিল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। ফলে বিলটি রাজভবনেই আটকে ছিল। নয়া রাজ্যপাল রাজভবনের বাসিন্দা হতেই তাঁর কেছে এই বিল পেশ করা হয়। সূত্রের খবর বিল পড়ে দেখে তবেই এদিন তাতে সই করেছেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এই বিলটি আইনে রূপান্তরিত হওয়ায় এর সব থেকে বেশি সুবিধা পেতে চলেছেন বাংলার তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এতদিন পর্যন্ত এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জাতিগত শংসাপত্রের জন্য একবার মাত্র আবেদন করার সুযোগ ছিল। সেই আবেদন খারিজ হলে আর আবেদন করার সুযোগ ছিল না। নয়া এই বিলে সই হয়ে যাওয়ায় এরপর থেকে এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরা আরও একবার আবেদন করতে পারবেন এই শংসাপত্রের জন্য।
আরও পড়ুন বঙ্গ বিজেপিকে উৎকণ্ঠায় ফেলে মমতা সমীপে শুভেন্দু
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের ভোটব্যাঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময়ে এই দুই ভোট ব্যাঙ্কই বিজেপিকে বড়সড় লাভের মুখ দেখিয়েছিল। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভোট আর একচেটিয়া ভাবে ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বিশেষ করে তপশিলি উপজাতি বা আদিবাসীদের ভোট চলে এসেছিল তৃণমূলের দিকে। তপশিলি ভোটও বিজেপির হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে নানা কারণে। এখন বাংলার রাজ্যপাল দুই সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখাবে এমন বিলে সই করে দেওয়ায় নিঃসন্দেহে তা তৃণমূলকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাড়তি লাভের মুখ দেখাতে চলেছে। বিশেষ করে অখিল গিরি কাণ্ডে তৃণমূল যেভাবে বেকায়দায় পড়েছিল, নতুন বিল সেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে অনেকটাই সফল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।