এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মণীশ কোঠারির গ্রেফতারিতে সন্ত্রস্ত ব্যবসায়ী থেকে শিল্পপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচারের(Cattle Smuggling) ঘটনায় তদন্তে নামা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI’র হাতে আগেই গ্রেফতার করেছে বীরভূমের(Birbhum) দাপুটে তৃণমূল(TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrata Mondol)। এখন আবার তিনি অপর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা  ED’র হাতে বন্দী হয়ে দিল্লিতে রয়েছেন। সেই দিল্লিতেই তদন্তের স্বার্থে ED’র আধিকারিকেরা ডেকে পাঠিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে(Manish Kothari)। তার আগে কলকাতাতেও তাঁকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রতিবারই হাজিরা দিয়েছেন মণীশ। তারপরেও দিল্লি থেকে তলব আসায় আশঙ্কা ছড়িয়েছিল গ্রেফতারির । সেই আশঙ্কা সত্যি করে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার দিল্লিতে ED’র সদর দফতরে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে মণীশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাঁর গ্রেফতারির পরে পরেই বীরভূম জেলার ব্যবসায়ী(Buisnessman) ও শিল্পপতি(Industrialist) মহলে ছড়িয়েছে ভয়ের বাতাবরণ।

আরও পড়ুন কেষ্ট নেই তো কী হয়েছে, ‘বিশ্ব বাংলা’র কুপনেই চলছে বালি পাচার

ED’র আইনজীবী নীতেশ রাণা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে দাবি করেছেন, অনুব্রত জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছেন, তাঁর টাকা-সম্পত্তি কোথায় কী ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে, সবই মণীশ জানেন। তিনিই গরু পাচারের টাকা নিয়ে আর্থিক নয়ছয় করেছেন। তার জন্য দু’টি ভুঁইফোড় সংস্থা খুলেছিলেন মণীশ। সেখানে বাড়ির পরিচারক, অন্য কর্মীদের কাগজে-কলমে ডিরেক্টর করা হয়েছিল। অনুব্রতের পাশাপাশি, তাঁর দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনের কালো টাকা-সম্পত্তিও মণীশই সাদা করতেন। এই দাবি সামনে আসতেই বীরভূম জেলার বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও বেশ কয়েকজন শিল্পপতির ভূমিকা প্রশ্নের মুখে চলে এসেছে। কেননা মণীশ এদের অ্যাকাউন্টও দেখাশোনা করতেন। বোলপুর শহরের শ্রীনেকতনের চৌরাস্তার বাসিন্দা মণীশ অনুব্রত ছাড়াও বেশ কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ীর অন্যতম আর্থিক পরামর্শদাতা ছিলেন। এবার একে একে সেই সমস্ত ব্যবসায়ীরাও ED’র র‍্যাডারে আসতে চলেছেন বলে এখন জেলাজুড়ে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে।  

আরও পড়ুন Colon Cancer প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের নকশা প্রস্তুত

মণীশ যাঁদের অ্যাকাউন্ট দেখাশোনা করতেন তাঁদের মধ্যে একজনকে ED আগেই তলব করেছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে খবর, মণীশই হতে পারেন এই গোরুপাচার মামলার অন্যতম চাবিকাঠি। যা দিয়ে খুলবে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের রহস্যের মোড়ক। কালো টাকা সাদা করার জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল, কোন কোন অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা হয়েছে সেই হিসাব দিতে পারেন এই হিসাবরক্ষক। এখানেই জেলার বেশ কয়েকজন নামী ব্যবসায়ীর নাম সামনে চলে আসছে যাঁদের মণীশ নানা সময়ে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এইসব ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। সিউড়ির এক নামী শিল্পপতিও এই তালিকায় রয়েছেন। অনুব্রতর সূত্র ধরে যাঁর সঙ্গেও মণীশের বেশ দহরম মহরম ছিল। এছাড়াও জেলার বাইরে এক-দু’জন নামী ব্যবসায়ীর নামও উঠে আসছে। মাত্র ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে এই সব ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি আকাশছোঁয়া হয়ে ওঠে। অনেকেই মনে করছেন, ED’র আধিকারিকেরা একদম মক্ষোম জায়গায় আঘাত হেনেছেন। জেলাতে কমপক্ষে ৩৫ জন এমন ব্যবসায়ী আছেন, যাঁরা মণীশের পরামর্শে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করেছেন বলে মনে হয়। শুধু গোরুপাচার নয়, অবৈধ কয়লা, পাথর চালান থেকে আদায় করা কয়েকশো কোটি টাকা ঘুরপথে সাদা করা হয়েছে। এরসঙ্গে যেমন তৃণমূলের জেলা সভাপতির মতো লোকজন আছেন, তেমনই কয়েকজন ব্যবসায়ীও যুক্ত রয়েছেন। যদিও মণীশ গ্রেফতারির পরে একটাই কথা জানিয়েছেন, ‘আমি কিচ্ছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়া।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুরে প্রবীণ ও অক্ষম ভোটারদের দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করল কমিশন

ভিন রাজ্যের নিখোঁজ বৃদ্ধকে পরিবারের হাতে পৌঁছে দিল রানাঘাট পুলিশ

বারাসতের টাকি রোডে নার্সিংহোমে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ

গঙ্গারামপুরে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল প্রশাসন

‘মিথ্যা অভিযোগ’, মামলা তুলে নিতে চান সন্দেশখালিতে ‘ধর্ষণের শিকার’ মহিলা

বুধবার শ্রীরামপুরে প্রচারে মুখোমুখি কল্যাণ- দীপ্সিতা, উঠলো স্লোগান, গাইলেন রবীন্দ্র সংগীত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর