এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যে বাড়ছে রেশন দোকানের সংখ্যা, কমছে গ্রাহক

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে বাড়তে চলেছে রেশন দোকানের(Ration Shop) সংখ্যা। রাজ্যে এখন প্রায় ২০ হাজার রেশন দোকান রয়েছে। সেই সংখ্যা এবার বাড়তে চলেছে। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে নতুন ১৭০০ রেশন দোকানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১২৫টির লাইসেন্স(License) প্রদান করা হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই এগুলি পরিষেবা দিতে শুরু করবে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার এমন একটা সময়ে নিয়েছেন যখন কেন্দ্র সরকার(Central Government) ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রেশন দোকানগুলিকে যেমন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, সমবায় সমিতি বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতে চাইছে তেমনি খাদ্য গণবন্টনের ক্ষেত্রে রাজ্যের অধিকার খর্ব করে নিজেদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। স্বাভাবিক ভাবেই একটা প্রশ্ন উঠে যায় যে, কেন্দ্র যদি কোনওদিন তাঁদের সিদ্ধান্ত আইনের জোরে বাংলার বুকে বাস্তবায়িত করে তাহলে এখন যারা নতুন করে রেশন দোকান খোলার ছাড়পত্র পাচ্ছে তাঁদের কী হবে?

আরও পড়ুন শুক্রবার মোদি-মমতা বৈঠক, থাকবেন মুখ্যসচিবও

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দেখা যাচ্ছে, কোনও কোনও রেশন দোকানের আওতায় ১০-২০ হাজার করে গ্রাহক রয়েছেন। এই বড় সংখ্যাকে ভেঙে ছোট করার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে তখন বিষয়টি সামনে এসেছিল নতুন রেশন দোকান খোলা হবে এই হিসাবে। এখন দেখা যাচ্ছে যে সব রেশন দোকানে ৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছেন সেই সব দোকানগুলিকে ভেঙে আরও ২টি বা ৩টি রেশন দোকান করে দেওয়া হচ্ছে। তার জেরে রাজ্যে রেশন দোকান পিছু গ্রাহকের সংখ্যা কমতে চলেছে। এতে রেশন ডিলারদের যেমন লাভ হবে তেমনি লাভ হবে গ্রাহকদেরও। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, দেখা যাচ্ছে রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই এমন অনেক রেশন দোকান রয়েছে যেখানে গ্রাহকদের ৫-৬ কিলোমিটার দূরে গিয়ে রেশন দোকান থেকে চাল-গম সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তাছাড়া কিছু কিছু দোকানে গ্রাহকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় লম্বা লাইনও পড়ছে। এতে বহু মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। সেই অসুবিধা দূর করতেই এই ধরনের রেশন দোকানগুলিকে ভেঙে আরও ২টি বা ৩টি রেশন দোকান করে দেওয়া হচ্ছে। যে সব এলাকায় রেশন গ্রাহকের সংখ্যা বেশি বা গ্রাহকদের বাড়ি থেকে রেশন দোকান দূরে, সেইসব জায়গায় একের বদলে দু’টি বা তিনটি দোকান করা হবে। এর ফলে সুবিধা হবে রেশন গ্রাহকদের। তাঁদের আর বাড়ি থেকে দূরের দোকানে যেতে হবে না চাল-গম তুলতে।  

আরও পড়ুন ‘ব্রাহ্মণের আশীর্বাদ মিথ্যা হবে না, আপনি প্রধানমন্ত্রী হবেন’

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অনলাইনে প্রায় ৮০০ এবং অফলাইনে ১ হাজার আবেদন জমা পড়েছে নতুন রেশন দোকান খোলার জন্য। এর মধ্যে অনলাইনে ৭০০ এবং অফলাইনে সবকটি আবেদন মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। এই সব নতুন রেশন দোকাঙ্গুলিতে কত গ্রাহক থাকবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্র যদি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রেশন দোকান তুলে দিতে চায় তখন এই নতুন রেশন দোকানগুলির ডিলারদের কী হবে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর কিন্তু মেলেনি কোথাও। তবে এটাও ঠিক কেন্দ্র যদি এই ধরনের পদক্ষেপ করে তাহলে রাজ্যের সঙ্গে সেক্ষেত্রে বিবাদ বাঁধবেই। সেক্ষেত্রে আদালতই হয়তো এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

স্ত্রী বিজেপিতে যোগদানের পরেই জগন্নাথ সরকারকে বেনজির আক্রমণ মুকুটমণির

বহরমপুরে রোড শো’ তে বেরিয়ে লস্যিতে চুমুক ইউসুফ পাঠানের

দেবাংশুর প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ,প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে পথ অবরোধ

বেলঘরিয়ায় ভোট প্রচারে সুজন চক্রবর্তীর ‘সাদা চুল’ নিয়ে কটাক্ষ মদন মিত্রের

স্বামীকে ব্রাউন সুগার খেতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে মারল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

মঙ্গলবারের পর থেকে বঙ্গে দুর্যোগ কাটবে, বাড়বে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর