এই মুহূর্তে




বিলকুল হ্যাপিশ এই সরকারি চাকরির ওএমআর শিট




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে সরকারি চাকরির ওএমআর শিট(OMR Sheet) বেমালুম উবে যাওয়া কী একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়াল? স্কুল সার্ভিস কমিশনের(SSC) পরীক্ষায় আগেই এই ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনাই কার্যত বলে দিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় বাংলার এক মন্ত্রী সহ বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক ও বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। ঘটনার যৌথ ভাবে তদন্ত করছে সিবিআই(CBI) ও ইডি(ED)। তারই মাঝে সামনে এল রাজ্যের আরও এক সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বেমালুম উবে যাওয়ার ঘটনা। যা কার্যত আরও একতা বড়সড় দুর্নীতির ইঙ্গিত দিয়ে দিচ্ছে। যে সব পদের জন্য ওই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সেই সব পদে অবশ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া আগেই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি সামনে এসেছ কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) এই নিয়ে মামলা দায়ের হওয়ার জেরে। এক চাকরিপ্রার্থীই এই মামলা দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন শ্লোগানকাণ্ডে কাঠগড়ায় পূর্ব রেলের সিপিআরও এবং ডিআরএম

জানা যাচ্ছে, নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরের বুকে স্থানীয় পুরসভা(Krishnanagar Municipality) কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পদে চাকরির পরীক্ষা নেয়। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার থেকে মজদুর পর্যন্ত ১৭টি পদে মোট ৭২ জনকে নিয়োগ করা হয়। সেই সময়েই তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভার অন্দরে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইন বা আরটিআই’র জোরে এই ব্যাপারে একটি আবেদন করা হয়েছিল। সেই আরটিআই করেছিলেন ওই পরীক্ষার দুই চাকুরিপ্রার্থী নদিয়া জেলারই হাঁসখালির জয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় সরকার ও ভাইনার বাসিন্দা অপূর্বলাল বিশ্বাস। সেই আরটিআইয়ের জেরে কৃষ্ণনগর পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান রিতা দাস জানিয়েছেন, সেই পরীক্ষার প্রায় ২৫ হাজার উত্তরপত্র বা  ওএমআর শিটের কোনও খোঁঅই নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। আর তার জেরেই এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই পরীক্ষার আরেক চাকুরিপ্রার্থী হাঁসখালির ভৈরবচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সুমন বিশ্বাস। অপূর্বলালের আফশোস, ‘বিশ্বাসই করতে পারছি না যে পুরসভার কাছে ওএমআর শিট নেই! সেগুলো সরিয়ে ফেলা হল নাকি হাওয়ায় মিলিয়ে গেল?’

আরও পড়ুন কলকাতা সহ শহরতলিতে অটো শাসনের পথে নবান্ন

এই ঘটনা নিয়ে আরটিআই দায়ের করা সঞ্জয়, অপূর্বলাল ও সুমনের দাবি, তাঁরা চাকরি পাওয়া দূরের কথা, পরীক্ষার ফল পর্যন্ত জানতে পারেননি। এমনকি সুমন যখন বিষয়টি নিয়ে আরটিআই করতে গিয়েছিলেন তখন তাঁর আবেদনপত্র জমা তো নেওয়াই হয়নি, উপরন্তু তাঁকে ঘর থেকে বার করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে যখন ওই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, সেই সময়ে কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান ছিলেন তৃণমূলের অসীম সাহা। গত পুরভোটে ফের জিতে তিনি চেয়ারম্যান ইন-কাউন্সিল সদস্য হয়েছেন। পুরপ্রধান হয়েছেন রিতা দাস। এই পরীক্ষার ওএমআর সিট গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে বর্তমান পুরপ্রধান জানিয়েছেন, ‘আরটিআই হওয়ার পর আমি প্রাক্তন পুরপ্রধান অসীম সাহার কাছে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চাই। তিনি জানান, সব কিছু দফতরের জিম্মায় আছে। তিনি কিছু জানেন না। অসীমবাবুর জবাব পাওয়ার পর আমি প্রধান করণিকও লিখিত ভাবে এই বিষয়ে জানতে চাই। তিনিও জানান যে, ওএমআর শিট বিষয়ে তাঁরও কিছু জানা নেই।’ আবার অসীমবাবুর দাবি, ‘২৫ হাজার পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র আমার কাছে থাকার কথা নয়। পুরসভার দফতরের তত্ত্বাবধানে থাকার কথা।’ আবার পুরসভার প্রধান করণিক পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘আমায় কেউই কোনও দিন ওই সব ওএমআর শিট দেননি। আমি সেগুলো চোখেই দেখিনি।’ আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে দায়িত্বটা কার ওএমআর শিট সংরক্ষণের ক্ষেত্রে? সেগুলি গেলই বা কোথায়? তাহলে এবার কী এই ক্ষেত্রেও সিবিআই-কে মাঠে নামতে হবে? আপাতত বঞ্চিতরা তাকিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দিকেই।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষ্মী পুজোয় শব্দ বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ বলে প্রচার শুরু পুলিশের

শিলিগুড়িতে চিকিৎসক ও ঔষধ না পেয়ে ভাঙচুর সুপার অফিস,আটক ৩

ঝাড়গ্রামের ডুলুং নদী থেকে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

সাবধান আর মাত্র ২ ঘণ্টা, ধেয়ে আসছে ব্যাপক বৃষ্টি

ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে নাবালিকার জবানবন্দি দেওয়াতে গিয়ে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পুলিশ

মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের ৬ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন কবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর