এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

WEB Ad_Valentine



মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রামেশ্বর মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু

Courtesy - Google and Facebook



নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলা হল ঝাড়গ্রাম(Jhargram)। একসময়কার অবিভক্ত মেদিনীপুর ও পরবর্তীকালের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মহকুমা হিসাবে থাকা ঝাড়গ্রামকে পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এবার তাঁর আরও এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। প্রায় কোটি টাকায় ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের রামেশ্বর মন্দির(Rameshwar Temple) সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেখানকার জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন রঙে মন্দির প্রাঙ্গণ সাজানো হচ্ছে। একইসঙ্গে পানীয় জলের ব্যবস্থা ও শৌচাগার সংস্কার করা হচ্ছে। মন্দিরটি সংস্কারের কাজ শেষ হলে পর্যটকদের(Tourists) ভিড় বাড়বে। মন্দির প্রাঙ্গণে পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ সহ একাধিক উন্নয়নের কাজ চলছে। 

রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে থাকা ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়েই শীতের আমেজ পড়তেই পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ে যা প্রায় মার্চ মাস অবধি থাকে। নয়াগ্রাম ব্লকের দেউলবাড়ে সুবর্ণরেখা নদী রয়েছে। নদীর তীর লাগোয়া কয়েক একর জায়গাজুড়ে প্রাচীন রামেশ্বর শিব মন্দিরটি রয়েছে। এই মন্দিরটি মাকড়া পাথরে তৈরি। মন্দিরের ভিতরেই রয়েছে গর্ভগৃহ। গর্ভগৃহের ভিতর একসঙ্গে ১২টি শিবলিঙ্গ রয়েছে। এই মন্দির ঘিরে নানা জনশ্রুতি রয়েছে। অনেকে মনে করেন, সীতার বনবাসকালে শিব চতুর্দশীর ব্রত উদযাপনের জন্য এই মন্দিরটি স্থাপন করা হয়। রামচন্দ্রের অনুরোধে স্বয়ং বিশ্বকর্মা মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন। আবার মন্দিরটিকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সমসাময়িক বলে অনেকে মনে করেন। এই মন্দিরের সঙ্গে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মিল রয়েছে। একসময় নয়াগ্রাম এলাকা ছিল ওড়িশা রাজ্যের ময়ূরভঞ্জ পরগনার অধীনে। একাদশ-দ্বাদশ শতকের শুরুর দিকে ওড়িশার চোল গঙ্গদেব রাজাদের আমলে মন্দিরটি তৈরি হয়। সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের প্রথম কিরণ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে চারপাশ আলোকিত করে তোলে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকে বহু মানুষ মন্দির দেখতে আসেন।

ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মন্দিরটি সংস্কার করতে আনুমানিক ১ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মন্দির সংস্কার হলে পর্যটক সমাগম বাড়বে। সারা বছরই মন্দিরে দর্শনার্থীরা আসেন। মন্দির সংস্কারের ফলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। মন্দিরটি সংস্কার হওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল। তবে এই এলাকায় হাতির সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এলাকায় নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে। যদিও এলাকাবাসীর দাবি, মূল মন্দিরের সঙ্গে ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও সুগম নয়। যার জন্য যত সংখ্যক পর্যটক এখানে আসার কথা তা আসতে পারে না। সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দির সংকারের কাজ শেষ হলে মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পুজো দিতে যাবেন। 



Published by:

Koushik Dey Sarkar

Share Link:

More Releted News:

ব্যারাকপুর পুরসভার উদ্যোগে চালু হল ফুটবল অ্যাকাডেমি

হাবড়া পুলিশের জালে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ কাফসিরাপ

দুবাইতে কাজে গিয়ে আটকে রয়েছেন রাজ্যের ১৫ জন

কুলতলীতে বাঘকে জঙ্গলে ফেরাতে তৎপর বন দফতর

মধ্যমগ্রামে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে পদযাত্রা ও বধিরদের শীতবস্ত্র প্রদান

ঝালদায় অনাস্থা আনা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর