নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর আগে রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। কলকাতা, হাওড়া-সহ একাধিক জায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে। যা স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসনের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে জেলাগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্যের জেলাগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জেলাগুলিকে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, মহকুমা হাসপাতাল, গ্রামীণ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে জরুরি ভিত্তিতে ফিভার ক্লিনিক খুলতে হবে। যাতে ওপিডির সময় বাঁচানো যায়। পাশাপাশি, যদি কোনও মিউনিসিপাল হাসপাতাল বা পৌরসভার অধীনস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে বলে তাহলে তার নমুনা সঙ্গে সঙ্গেই সংগ্রহ করতে হবে। সেই রোগীকে আরও একবার চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া যাবে না। এছাড়া, আশা কর্মীরা যখন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শনক করবেন, সেই সময় যাদের জ্বর হচ্ছে তাদের ডেঙ্গু টেস্ট করার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহ দেবেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ডেপুটি মেডিকেল অফিসার পদমর্যাদার আধিকারিকদের প্রতিটি জেলায় বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে শহরে। সেই কারণে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আগেই বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের যে সব এলাকায় তুলনামূলক ভাবে ডেঙ্গু বেশি ছড়িয়েছে সেই ডেঙ্গুপ্রবণ ১৮টি ব্লককে চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে ব্লকগুলিতে মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর দিতে পঞ্চায়েত দফতর থেকে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা, হাওড়ার পাশাপাশি হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিং জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় জোর দেওয়া হচ্ছে মশা নিধনে। পাশাপাশি ডেঙ্গু বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের তরফেও দেওয়া হচ্ছে বার্তা।